অমৃতা দেবনাথ ১ অফিসের দিনভর আনন্দ আর হৈচৈয়ের পর ধীরে ধীরে রাতের পর্দা নামছে। পিকনিকের শেষ মুহূর্তে চারপাশের হইচই যেন আলতো করে স্তিমিত হয়ে এসেছে, শুধুই গঙ্গার ঘাটের বাতাসে থেকে যাচ্ছে দিনের মিষ্টি ক্লান্তি। বড় বড় গাছের ফাঁক দিয়ে চাঁদের আলো গলে এসে নদীর জলে ঝিকিমিকি ছড়াচ্ছে, মাঝে মাঝে দূরে কোনো নৌকার ঘণ্টাধ্বনি বা ট্রেনের হুইসেল শোনা যাচ্ছে। অফিসের সহকর্মীরা একজন দুজন করে নিজেদের জিনিসপত্র গুছিয়ে গাড়ির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, কেউ কেউ শেষবারের মতো গ্রুপফটো তোলার জন্য ব্যস্ত। রুদ্র দাঁড়িয়ে আছে খানিকটা দূরে, কোলাহলের ভিড় থেকে আলাদা হয়ে। সে লক্ষ্য করল, তৃষাও এক কোণে দাঁড়িয়ে আছে, মুখে একটা মৃদু হাসি…
-
-
অর্কদীপ ঘোষ ১ আষাঢ়ের এক শেষ বিকেল। ধূলিধূসর রাস্তা পেরিয়ে রাধিকার গাড়ি এসে দাঁড়াল শান্তিনিকেতনের এক পুরনো বাড়ির সামনে—দোতলা, লালমাটির ধুলোয় লেপা উঠোন, চারপাশে পেঁচিয়ে ওঠা মাধবীলতা আর ঘন পাতা গন্ধরাজ গাছের ছায়া। জানালার গরাদে কাঁটা লতাভরা স্মৃতি আটকে আছে, যেন কেউ সময়কে ছেঁচে রেখে দিয়েছে ওই দেয়ালের ফাটলে। এক সময় এই বাড়ির প্রতিটি কোণা তার চেনা ছিল—দাদুর বইয়ের আলমারি, মামিমার হাতের লুচির গন্ধ, আর উঠোনের কোণায় দাঁড়িয়ে থাকা সেই বিশাল গন্ধরাজ গাছ, যার তলায় একদিন ঋষভ দাঁড়িয়ে বলেছিল, “তুই চলে যাবি তো ঠিকই, কিন্তু এই গন্ধটা থেকে যাবে। জানবি আমি কাছে আছি।” আজ বছর তেরো পর রাধিকা সেই…