পৌলমী দে ১ শীতকাল তার নিঃশব্দ পায়ে গ্রামের উঠোনে নেমে এসেছে বেশ কিছুদিন হল। মাঠের ঘাসে জমে থাকা শিশিরের ওপর দিয়ে হাঁটলে পায়ের শব্দ হয় না, কিন্তু শীতে মোড়া সেই স্তব্ধতায় সায়ন্তী প্রতিদিন একটা পরিচিত শব্দের অপেক্ষা করে থাকে—স্কুলঘরের প্রথম ঘণ্টা বাজা। সে দিনের শুরুটা হয় ঘুম ভাঙা মায়ের কাশির আওয়াজে, চায়ের কাপ গুনে ফেরা সংসারে। আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাথায় উলের চাদর জড়ানো, ব্যাগে খাতা বইয়ের ভার; বাকি সব দিনের মতোই যেন। কিন্তু আজকের সকালে কুয়াশাটা একটু বেশি জমাট, আর হাওয়াটা যেন অতীতের গন্ধ নিয়ে আসে। গলির ধারে সেই পুরনো দোতলা বাড়িটা, যেটায় একসময় খেলাধুলা চলত, কাঁঠাল গাছের ডালে…