জয় সাহা গলির মেয়ে সহেলীর জন্ম এক ছোট্ট শহরের এক অজপাড়া গলিতে। সে ছিল এক সাধারণ মেয়ে, যেখানে সমাজের চোখে তার কোন বিশেষ গুরুত্ব ছিল না। তার জীবন ছিল একেবারে নিরস, রুটিনমাফিক। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কাজ ছিল ঘরের কাজ, মা-বাবার সহায়তা, ছোট ভাই-বোনদের দেখাশোনা, আর মাঝে মধ্যে স্কুলে যাওয়া। তবে, সহেলী কখনোই এই নির্ধারিত জীবনটিকে সঙ্গী করতে পারেনি। তার মন ছুটতে চেয়েছিল দূরে, তার চোখ ছিল নতুন দিগন্তে, যেখানে জীবনের অনেক সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সে জানত, সে তার ছোট্ট গলির মধ্যেই বন্দী। সেই গলির প্রাচীরের বাইরের পৃথিবী তার জন্য এক কল্পনা মাত্র। সহেলী ছিল খুব চুপচাপ। একা থাকলেই…
-
-
অর্পণা দাস নিরবতার অন্তরালে মধ্যরাত্রির নিস্তব্ধতায় জানালার ধারে বসে থাকা মেয়েটির নাম রায়া। বাইরের অন্ধকার যেন ঠিক ওর মনটা মতোই গাঢ়, ভারী। ঘরের ভেতরে ঝুলে থাকা ঘড়ির কাঁটা যেন থেমে গেছে – সময়ও হয়তো ওর কষ্টের সামনে থেমে পড়েছে। রায়ার বয়স মাত্র পঁচিশ, কিন্তু চোখে-মুখে যেন ত্রিশ বছরের ক্লান্তি। গত পাঁচ বছর ধরে সে একটি দাম্পত্য যন্ত্রণার মধ্যে আবদ্ধ। তার স্বামী অভিষেক, বাইরে থেকে পরিপাটি, একজন শিক্ষিত মানুষ – কিন্তু ঘরের দরজার ওপারে সে এক ভয়ানক দৈত্য। প্রতিদিনের মানসিক নির্যাতন, ছোট ছোট কথা দিয়ে অপমান, সন্দেহ, একঘেয়েমি – এসবই হয়ে উঠেছিল রায়ার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অভিষেক কখনো গায়ে হাত তোলেনি,…