ইশিতা রায়চৌধুরী এক কলকাতার দক্ষিণ শহরতলির এক বহুতল অ্যাপার্টমেন্টে বসে চারুলতা জানলার পাশে একটা নীলকাঠের চেয়ার টেনে বসে আছে। সকালবেলার আলো জানলার গ্রিল পেরিয়ে তার কপালের ওপর পড়েছে, পাতলা চুলগুলো একটু উড়ছে ফ্যানের হাওয়ায়, আর তার হাতে ধরা আছে এক কাপ গরম লিকার চা। বাইরে হালকা কুয়াশা, ব্যালকনির গাছগুলোয় টুপটাপ জল ঝরে পড়ছে — শহরের এত কোলাহলের মধ্যেও তার ভেতরটা কেমন নিঃশব্দ হয়ে আছে। এই নিঃশব্দতা কেবল শব্দহীন নয় — এখানে লুকিয়ে আছে অনেক না-বলা কথা, চাপা কান্না, চেনা ও অচেনা অভিমান। আজ নয়, বহুদিন ধরেই এমন চলছে। তার স্বামী ভাস্কর, এক রাজনৈতিক সাংবাদিক, প্রতিদিন সকালে তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যান…
-
-
পিউ সেনগুপ্ত এক সকালটা ছিল একেবারে ঘড়ির কাঁটার মতো। মিনতি সেন জানে—৮টা নাগাদ স্বামী দেবজ্যোতির অফিসের ফাইল রেডি, ছেলের টিফিন, দুধ, সংবাদপত্র; এই তালিকাটা গত কুড়ি বছর ধরে অটুট। তবে আজ তার ভেতরে একটা ক্ষীণ অস্থিরতা ছিল। পেঁয়াজ কাটার সময় চোখ জ্বলছিল ঠিকই, কিন্তু আজ সেই জ্বালা শুধুমাত্র গন্ধের কারণে নয়—একটা জমে থাকা ক্লান্তির জলছবিও। রান্নাঘরের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে পুকুরের পাড়ে রোদে গা গুজে বসে থাকা বেড়ালটা দেখতে পেত মিনতি, অথচ আজ সে জানালার দিকে তাকায়নি একবারও। নিজেকে আজ একটু অচেনা লাগছে। হয়তো এই কারণেই, দুপুরবেলায় কপালে ঘাম নিয়ে বালিশে মাথা রাখার বদলে সে মোবাইলটা হাতে তুলে নেয়। ফেসবুকে…