তন্ময় লাহিড়ী নবান্নের আগে বর্ষা থেমে গিয়েছিল, কিন্তু গ্রামের কাঁচা রাস্তা এখনও স্যাঁতসেঁতে। হালকা কুয়াশায় মোড়া মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে সাব্যসাচী রায় তাকিয়ে ছিল ভগ্ন জমিদারবাড়িটার দিকে। ক’টা জানালার কাঁচ নেই, ছাদে আগাছার রাজত্ব, আর দেয়ালগুলোয় গাঢ় সবুজ শ্যাওলা লেপে আছে—তবু, সেই কুঠির যেন সময়ের ভিতর দাঁড়িয়ে আছে এক অমোচনীয় অভিযোগ নিয়ে। শহর কলকাতার জীবন থেকে দূরে, বহু বছর পর সে আবার ফিরে এসেছে বাপ-ঠাকুর্দার ভিটেয়—কিন্তু এভাবে? কুড়িয়ে পাওয়া এক পুরনো চিঠির টানে, যেখানে লেখা ছিল—“কুঠির জেগে উঠেছে, সাব্যসাচী, ফিরে আয়।” পাঠিয়েছিলেন ভবানী দাসী, যিনি তার ছোটবেলায় তাদের বাড়িতে কাজ করতেন, এখন একা থাকেন গ্রামের উপান্তে। সাব্যসাচীর মধ্যে একটা অদ্ভুত টান…
-
-
অর্ঘ্য দত্ত আগমন বিকেলের আলো তখনো জমে আছে গাছের পাতায়, যখন শুভম দাস ট্রেন থেকে নামল। ছোট্ট একটা স্টেশন—নাম ‘মাহেশচর’। আশেপাশে ঝিম ধরা সবুজ মাঠ, দূরে একটা নদীর রেখা দেখা যায়, আর ঝাঁক বেঁধে উড়ছে সাদা বক। শুভম শহরের ছেলে, কলকাতার এক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। পিএইচডির বিষয় “লোকজ কৃষিপদ্ধতি ও তার সামাজিক প্রভাব”, আর সেই সূত্রেই আজ এই প্রত্যন্ত জায়গায় তার পদার্পণ। এতটা ভিতরে ঢুকতে হবে, তা আগে আন্দাজ করেনি। স্থানীয় এক শিক্ষকের মাধ্যমে পরিচিত হয়েছে গ্রামের নাম—গোপীনাথপুর, আর সেই গ্রামের পাশেই একটি রহস্যময় ধানখেত, যেখানে প্রতি বছর নবান্নর আগের রাতে কেউ পা রাখে না। স্টেশন থেকে বেরিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেই…