অনির্বাণ দাস অধ্যায় ১: অপরিচয়ের শুরু প্রথম দেখা ছিল হঠাৎ, একেবারেই অপ্রস্তুত অবস্থায়। কলেজের প্রথম দিন, সকালবেলার আকাশে হালকা মেঘ আর বাতাসে অদ্ভুত একটা শীতলতা ছিল। নতুন পরিবেশে ঢুকে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই মনে হচ্ছিল, সবকিছুই অচেনা, সবকিছুই কেমন যেন কৌতূহলের আড়ালে ঢাকা। অনেকগুলো নতুন মুখ, কারও চোখে আত্মবিশ্বাস, কারও চোখে অচেনা ভয়ের ছায়া। ঠিক সেখানেই সে চোখে পড়ল—একটি পরিচিত অথচ অপরিচিত মুখ, যেন ভিড়ের ভেতর থেকে আলাদা হয়ে ওঠা কোনো আলো। মেয়েটির গায়ের রঙে এক অদ্ভুত উজ্জ্বলতা, চুলে অগোছালো ঢেউ, চোখে গভীর শান্তি। সে ছিল না অতিরিক্ত সাজানো বা চটকদার, বরং একদম সহজ, সরল, অথচ তীব্রভাবে আকর্ষণীয়। ছেলেটির মনে হলো,…
-
-
শিবানী চৌধুরী এক মাধবীলতার জীবনের ভোর আর রাতের মধ্যে যেন আর কোনো পার্থক্য নেই। সকালবেলায় জানালার ফাঁক গলে আলো এসে পড়লেও তার চোখে সেই আলো ঢোকে না। দিন শুরু হয় কড়াইতে ছটফট করা তেলের শব্দে, চাল ধোয়ার গন্ধে আর শ্রীময়ীর স্কুলে যাওয়ার তাড়াহুড়োয়। কিন্তু সব কিছুর মধ্যেই থাকে এক গভীর শূন্যতা। স্বামী মারা যাওয়ার পর এই কয়েক বছরে সে শিখে গেছে কীভাবে মানুষ নিঃশব্দে বাঁচতে শেখে, কীভাবে একা থেকে চারপাশের মানুষের সহানুভূতির অভিনয় সহ্য করতে হয়। সবাই মুখে বলে—“কি সুন্দর শক্ত করে বাঁচছো গো, মাধবী”—কিন্তু সেই কথার আড়ালে থাকে এক অদৃশ্য বিদ্রূপ, যেন বিধবার জীবনে হাসি-খুশি মানায় না। ঘর সামলাতে,…