ঐশী সেনগুপ্ত পর্ব ১: বৃষ্টির ব্রেক কলকাতার জুলাই মাসের বৃষ্টি ঠিক যেন কাকেই বা কখন চমকে দেবে বোঝা যায় না। সকালে রোদ, দুপুরে গুমোট, আর বিকেল গড়াতেই যেন মেঘ ভিজিয়ে দিয়ে যায় ব্যস্ত মানুষগুলোর অবসরের ফাঁকফোকর। তিথি সিংহরায় ঠিক সাড়ে তিনটে নাগাদ নামল গেটস টেক পার্কের সামনে। তার ল্যাপটপ ব্যাগটা আজ অদ্ভুত ভারি লাগছে, হয়তো বা ভেতরের টেনশনটাই বেশি। আজ যে প্রেজেন্টেশনটা দিতে হবে, সেটা হেড অফিস থেকে সরাসরি এসেছে—এবং সঙ্গে এসেছে তিনটি কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ। পা রেখেই সে বুঝল, মেঘ জমছে। “দুপুরের পরে এমন আবহাওয়ায় বরাবরই কিছু একটা হয়,” নিজের মনেই বলে উঠল তিথি। অফিস ক্যান্টিনটা প্রায় ফাঁকা। আরেকটা…
-
-
তপোভন দত্ত পর্ব ১: ফেরার প্রথম দৃশ্য “ডাইরেক্ট নেমে যা বাস থেকে, তোকে কেউ ফুল নিয়ে স্বাগত জানাবে না!” — বাসের কন্ডাক্টরের চিৎকারে ঘুম ভাঙল দেবদাসের। চোখ খুলতেই সামনের দৃশ্য দেখে নিজের চোখে বিশ্বাস হচ্ছিল না — এই তো তার চেনা গ্রাম, নারায়ণপুর। পঁচিশ বছর বাদে ফিরে এসেছে, চুলে পাক ধরেছে, পকেটে এখন আর প্রেম নেই, আছে একটা পুরোনো মোবাইল, দুটো হ্যাংওভার ট্যাবলেট, আর একগুচ্ছ ফুসকু কথা — যেগুলো সে পরোর উদ্দেশ্যে বলবে ঠিক করেছে। ডান হাতের ছোট্ট ট্রলি টেনে টেনে সে যখন বাসস্ট্যান্ড থেকে বেরোচ্ছে, তখন তার মাথায় সিনেমাটিক ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক বাজছে — অবশ্য সেটা কল্পনায়, বাস্তবে বাজছে পাশের…
-
অনির্বাণ ঘোষ অদ্ভুত ধ্বনি গাঁয়ের শেষ সীমানায়, ঘন জঙ্গল আর বুনো পথের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল বহুতলা ভুতের বাড়ি, যেখানে কোনোদিন মানুষের পা পড়েনি। গাঁয়ের বয়স্করা বলতেন, “এ বাড়ি শাপিত, এখানে বাস করা লোকের ভাগ্য বিপর্যস্ত।” কিন্তু আধুনিক যুবকরা এসব অন্ধবিশ্বাসকে গা ছেড়ে দিয়েছিল, আর তার মধ্যে এক জন ছিল আরিফ। এক রহস্যপ্রেমী সাংবাদিক, যিনি শহর থেকে এই গ্রামে এসেছিলেন কিছু অদ্ভুত ঘটনা অনুসন্ধান করতে। আরিফের প্রথম দিনের সন্ধ্যায় যখন সূর্য পশ্চিম আকাশে অস্ত যাচ্ছিল, তখন গাঁয়ের বাজারের এক কনফেকশনারি দোকানে বসে শুপ্রা নামক এক স্থানীয় মেয়ের সাথে পরিচয় হলো। শুপ্রা কথায় কথায় বলল, “আপনি কি বহুতলা ভুতের বাড়ি সম্পর্কে জানেন?”…