ছত্তিসগড়ের গভীর জঙ্গলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা নেমে এসেছে। চারদিকটা যেন অদৃশ্য কোনো চাপা রহস্যে ঘেরা—গা ছমছমে নিরবতা, ঘন কুয়াশা আর মাঝে মাঝে শোনা যায় অজানা পাখির ডানার শব্দ। ডঃ নীলয় সেনগুপ্ত, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান, জিপ থেকে নেমেই চারপাশটা একবার ঠান্ডা চোখে স্ক্যান করলেন। পিছনে তাঁর দলের বাকি সদস্যরা: তরুণ তথ্যচিত্র নির্মাতা অরিন্দম পাল, প্রত্নতাত্ত্বিক চিত্র বিশারদ ডঃ শ্রুতি দত্ত, ইতিহাসের গবেষক তনুশ্রী মুখার্জী এবং স্থানীয় গাইড兼ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট রাহুল কোসলে। তাঁরা আজ যে জায়গায় এসে পৌঁছেছেন, তার হদিশ পেয়েছিলেন কিছু দুর্লভ আদিবাসী নকশা বিশ্লেষণ করে। কথিত আছে, এই নির্জন জঙ্গলের মধ্যেই আছে এক প্রাচীন মন্দির, যার অবস্থান এতদিন…
-
-
অসিত চক্রবর্তী ১ সকালের আলো জানালার পর্দা ছুঁয়ে যখন ঘরে ঢুকল, তখন ঘুম ভাঙল রিমা দাশের। মাথাটা ভার লাগছিল, ঠিক যেন সারারাত ঘুম হয়নি। কিন্তু ঘড়ির কাঁটা বলছে সে ন’ঘণ্টা ঘুমিয়েছে। বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াতে গিয়ে আচমকা সে বুঝতে পারল—কিছু একটা নেই। কিছু একটা অদৃশ্য, অথচ খুব জরুরি। সেই অনুভূতিটা একেবারে হাড়ে হাড়ে টের পেল। সে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মুখের দিকে তাকাল—চোখের নিচে হালকা কালো ছাপ, ঠোঁট শুকনো, কিন্তু তার চেয়ে বেশি যেটা ভাবাচ্ছিল তা হলো এক রকম ভেতরের খালি জায়গা। তার মাথার ভিতর একটা চিত্রকল্প বারবার ঘুরে ফিরে আসছিল—কোনো পুরনো কথা, কারও মুখ, অথবা একটা হাসি—যা এখন আর সে…