সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এক শহর কখনও কাউকে নিজের করে নেয় না, আবার কখনও কাউকে ছেড়ে দেয় না—এই দুইয়ের মাঝখানে অনন্তভাবে আটকে ছিল সায়ন্তন চৌধুরীর জীবন। কলকাতার এই কর্পোরেট কাঁচের খাঁচায় তার দশ ঘন্টার অফিস, তিন ঘন্টার ট্রাফিক, আর বাকি সময় শুধু দমচাপা ক্লান্তি। ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে শহরের আলোগুলো যেন মৃত্যুর স্বপ্ন দেখায়, বেঁচে থাকার নয়। গত এক বছরে সায়ন্তনের মধ্যে অনেক কিছু ভেঙেছে—প্রেম, আশা, বিশ্বাস, নিজেকে ভালোবাসার ক্ষমতা। নয়নিকার চলে যাওয়া যেন তার আত্মাকে একবারে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। সেই অভিশপ্ত দিনগুলোর পরেই শুরু হয় প্যানিক অ্যাটাক, ঘুম না হওয়া, নিজেকেই অচেনা মনে হওয়া। অনেক মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়েছে, মেডিটেশন অ্যাপ…