• Bangla - তন্ত্র

    তান্ত্রিকের খড়ম

    অভিষেক মুখার্জী গ্রামের প্রান্তে, যেখানে সবুজ ধানক্ষেত আর খয়েরি মাটির রাস্তার মাঝেই ছায়া মেলে কয়েকটি পুরনো ঘর, সেই ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িটিকে ভাঙতে শুরু করল কয়েকজন শ্রমিক। ধুলোর স্তূপের মাঝে, কাঠের পুরোনো চালের ঢাকনা খুলতে গিয়ে হঠাৎ তাদের চোখে পড়ল মাটির নিচে পুঁতে রাখা এক জোড়া খড়ম। প্রথম দেখায় খড়ম দুটি অদ্ভুত সাধারণ মনে হলেও, যখন শ্রমিকেরা তাদের হাতে তুলে নিল, তখন তারা অবাক হল—এগুলি অতি ভারী, কিন্তু কাঠে কোনো ক্ষয় বা পচন নেই। খড়মের লম্বা দণ্ড এবং সূক্ষ্ম কুঁচকানো অংশ যেন কোনো অদ্ভুত নিপুণতার নিদর্শন বহন করছিল। গ্রামের লোকেরা সকালবেলায় এগুলো দেখল এবং সাধারণ বস্তু হিসেবে উপেক্ষা করল। কেউ কেউ হেসে…

  • Bangla - তন্ত্র

    অঘোরীর উত্তরাধিকার

    বিপ্লব দে ১ বারাণসীর নিশ্ছিদ্র অন্ধকার গঙ্গার ধারে মণিকর্ণিকা ঘাটে সেই রাতটা যেন মৃত্যুর গন্ধে মোড়া। শতাব্দীপ্রাচীন ঘাটের ভাঙাচোরা সিঁড়িগুলোয় অগ্নিশিখা নেচে বেড়াচ্ছে, মৃতদেহ দাহের ধোঁয়া গঙ্গার কুয়াশার সঙ্গে মিশে তৈরি করেছে ভয়ঙ্কর অথচ পবিত্র আবহ। আগুনের লাল আভায় নদীর জল কালো রঙে চকচক করছে, যেন গঙ্গাই আজ এক মহাশ্মশান। সেই শ্মশানের প্রান্তে, এক জরাজীর্ণ ঘাটঘরে শায়িত মহেশ্বর নাথ—অঘোর তন্ত্রের এক প্রবীণ সাধক। তাঁর শরীর ক্ষয়ে গেছে, হাড়গোড় বেরিয়ে এসেছে, তবুও মুখে এমন এক দীপ্তি যা মৃত্যুকেও হার মানায়। বুক ওঠানামা করছে কষ্টে, চোখের গভীরে জ্বলছে অন্তিম আলো। পাশে বসে অরিন্দম, গুরুপ্রেমে ভিজে চোখে জল। শিষ্য হাত দিয়ে গুরুজীর পা…

  • Bangla - তন্ত্র

    ডার্ক ওয়েব তান্ত্রিক

    তীর্থঙ্কর সেন ১ ঘরের ভেতর তখন মাঝরাত পার হয়ে গেছে। অভিষেক ধর একা বসে ছিল তার পুরোনো ডেস্কটপের সামনে, চোখের নিচে হালকা কালি, ঠোঁটে ক্লান্তির চিহ্ন, তবু মনোযোগ অটুট। কোড লেখার থেকে বেশি আজ তার আগ্রহ ছিল ডার্ক ওয়েবের অদ্ভুত সব ফোরাম ঘাঁটাঘাঁটিতে। টর ব্রাউজারে ‘Deep Onion’ রাউট দিয়ে সে ঢুকেছিল এমন এক সাইটে যেখানে হ্যাকিং টুল, অস্ত্রের ব্লুপ্রিন্ট, এমনকি কালো বাজারে বিক্রি হওয়া মানুষের ডেটা পাওয়া যায়। এসব তার কাছে নতুন নয়, বরং নেশার মতো। হঠাৎ সে এক লিংকে ক্লিক করল— “TantraDoc.net – Unlock Ancient Tantra Through Live Sessions”. চোখ কুঁচকে পড়ল সে। তন্ত্রমন্ত্র নিয়ে ওয়েবে এমন সাইট সে…

  • Bangla - কল্পবিজ্ঞান

    ভৈরব তন্ত্র

    ১ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গা-ছমছমে সেই পুরোনো গবেষণা রুমটা দিনের আলোতেও যেন কিছুটা অন্ধকারময়। তারই এক কোণে বসে রেখা সেনগুপ্ত চোখ গুঁজে পড়ছিল পুরনো এক সংস্কৃত পাণ্ডুলিপি—জীর্ণ, পোড়া পাতাগুলো যেন শতাব্দী প্রাচীন রহস্যের সাক্ষ্য বহন করছে। বেশ কিছুদিন ধরেই সে খুঁজছিল এমন এক প্রাচীন তন্ত্রগ্রন্থ যা তন্ত্রশাস্ত্রের অপ্রকাশিত ধারার অন্তর্ভুক্ত। লাইব্রেরির পুরাতন ক্যাটালগে হঠাৎ করেই তার চোখে পড়েছিল ‘ভৈরব তন্ত্র’ নামক একটি অচেনা শিরোনাম। কোনো কাগজে তার উল্লেখ নেই, কোনো অনুবাদ নেই, এমনকি কেউ এটি সম্পর্কে জানেও না। আজ সকালে প্রাচীন গ্রন্থসংগ্রহ থেকে লাইব্রেরিয়ান তার জন্য এক মোটা কাঠের বাক্স এনে দেয়। রেখার হাত কাঁপছিল উত্তেজনায়। সাদা তুলোর ভেতর পেঁচানো পাণ্ডুলিপি…