• Bangla - তন্ত্র

    মহাকাশের ডাকিনী

    সৌরভ নাগ ১ ভারতের প্রত্যন্ত এক ছোট্ট গ্রাম, চারদিকে বিস্তৃত ধানক্ষেত, দূরে দূরে তালগাছ আর মাঝখানে মাটির ঘরগুলির সারি। দিনের বেলা গ্রামটি শান্ত, মানুষজন তাদের ফসল ও গৃহস্থালির কাজে ব্যস্ত থাকে, আর সন্ধ্যা নামলেই যেন গ্রামটা ঢেকে যায় অদ্ভুত এক নিস্তব্ধতায়। আকাশভরা তারার নীচে সারা গ্রাম যখন ঘুমের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই ঘটল সেই অদ্ভুত ঘটনা। সেদিন ছিল অমাবস্যার রাত, চারপাশে অন্ধকার নেমে এসেছে, কেবল কিছু ঘরে কুপির আলো দপদপ করছে। সেই সময় হঠাৎ মেঘলা, গ্রামেরই এক কিশোরী, উঠোনে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিল। সে আকাশ দেখার অভ্যেস করেছে ছোটবেলা থেকে, তার মনে হয় রাতের আকাশে লুকিয়ে আছে হাজারো গল্প, হাজারো…

  • Bangla - তন্ত্র

    ডাকিনী ও সাধক

    তমাল রায় ১ অর্ণব যখন প্রথমবার নির্জন শ্মশানঘাটের ধুলোমাখা পথ পেরিয়ে প্রবেশ করল, তখন রাতের আকাশে চাঁদটি অর্ধেক আকারে ঝুলছিল। আশ্রমের চারপাশে বন এবং মৃত গাছের ছায়া মিলেমিশে এক অদ্ভুত নিরবতা তৈরি করেছিল। পায়ে পাথরের শব্দ পড়লেই যেন সারা আশ্রম প্রতিধ্বনিত হচ্ছিল। অর্ণবের বুক ভরা অস্থিরতা ও উত্তেজনা এক সময়ে তার মনকে জ্বলতে বসিয়েছে। গভীর নিঃশ্বাস নিয়ে সে ধীরে ধীরে তার তন্ত্রসাধনার স্থানটি নির্ধারণ করল—একটি পুরনো শ্মশানঘাটের ধারে, যেখানে আগের কেউ খুব কম প্রবেশ করেছে। আশ্রমের প্রবেশ পথের গাছগুলো যেন তাকে সতর্ক করে বলছিল—“এই জায়গায় প্রতিটি ছায়া চোখ রাখে।” অর্ণব জানত, এখান থেকে তার সাধনা আর কোনো সাধারণ পথে যাবে…

  • Bangla - ভূতের গল্প

    নদীর ধারে ডাকিনী

    মানস পাত্র অজিত মুখার্জি ছিল একেবারেই সাধারণ এক গ্রামীণ স্কুলশিক্ষক। বয়স তার ছত্রিশ, মুখে পাতলা দাড়ি, চোখে এক ধরনের ধীরস্থিরতা। শহরের চাকচিক্যময় জীবনের সঙ্গে তার কোনো যোগ নেই—বরং গ্রামের মাটির গন্ধেই সে শান্তি খুঁজে পেয়েছিল। প্রতিদিন ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠে সে স্কুলের পড়া প্রস্তুত করত, তারপর ধুতি-পাঞ্জাবি পড়ে সাইকেলে চেপে স্কুলে যেত। সারাদিন ছোট ছোট বাচ্চাদের পড়ানোই ছিল তার প্রধান কাজ। বাচ্চাদের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অসীম—তাদের হাসি, তাদের ছোট ছোট প্রশ্ন তাকে এক অদ্ভুত আনন্দ দিত। দিনের শেষে যখন পাঠ শেষ হতো, তখন তার ভেতরে একধরনের ক্লান্তি জমত, আর সেই ক্লান্তি দূর করার জন্যই সে প্রতিদিন হাঁটা পথে বাড়ি…