প্ৰবাল কাশ্যপ অধ্যায় ১ : নতুন শিক্ষক অৰুণৰ জীৱনত নতুন এক অধ্যায় আৰম্ভ হৈছিল। বহুদিন ধৰি পঢ়া-শিকাৰ পিছত তেওঁ শেষত এখন সৰু গাঁওৰ প্ৰাথমিক বিদ্যালয়ত শিক্ষক হিচাপে নিযুক্তি পাইছিল। চহৰত জন্ম-লালন হোৱা অৰুণৰ বাবে গাঁওবাসীৰ জীৱন পদ্ধতি, তেওঁলোকৰ ভাষা, ৰীতি-নীতি সকলো যেন এটা অজানাৰ জগত। যাত্ৰা দিনৰ পুৱা সুৰ্য্যোদয়ৰ লগে লগে বাটত নামি গ’লেও গাঁওখনলৈ যাবলৈ একাধিক নদী, বন আৰু গোটেই হালধীয়া ধাননি পথাৰ পাৰ হ’ব লগা হৈছিল। যাত্ৰাৰ সময়ত চাহ-বাগিচা, পথাৰ আৰু কেতিয়াবা সৰু ডাঙৰ গাঁওবোৰৰ মাজেদি যোৱা পথত তেওঁ এক অদ্ভুত শান্তি অনুভৱ কৰিছিল। চহৰৰ ভিৰ-ভাটিৰ পৰা আঁতৰি অহা সৰু সৰু গাঁওবোৰত মানুহৰ সৰলতা আৰু কোলাহলৰ অভাৱ তেওঁৰ…
-
-
নির্মলেন্দু বিশ্বাস শীতকালের শুরুটা কলকাতায় যতটা না কাঁপুনির, তার চেয়েও বেশি স্মৃতির। সকালবেলায় ঠান্ডা আলো, শাড়ি গায়ে জড়িয়ে বারান্দায় দাঁড়ানো মায়েরা, আর গরম চায়ের কাপ হাতে ভাঙা কাঁচের জানালা দিয়ে সূর্যের কুয়াশা-বাঁধা হাসি ঢুকে পড়ে ঘরে। এই শহরের অভিজাত বসতিপাড়ায় একটি তিনতলা বাড়ির প্রথম তলায় বসু পরিবার শীতের আগমনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বসুদের ছেলে, আর্য, বয়স চৌদ্দ—তাকে কেউ দেখলে বলবে বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা কোনো শান্ত স্বভাবের ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র। তার গায়ে তখন স্কুল ইউনিফর্মের গন্ধ, মাথার চুলে ঠিকঠাক জেল, হাতে একটি কমিক্স আর টেবিলের কোণে পড়ে থাকা আধখাওয়া স্যান্ডউইচ। মা রিমা বসু, সমাজসেবায় যুক্ত, কিন্তু সামাজিক অবস্থান বজায়…
-
প্রিয়াঙ্কা শীল পর্ব ১: লাল আলোয় ধরা দোতলার ছাদে বসে থাকা বাড়িটায় একসময় মানুষের কোলাহল ছিল, এখন পাখির ডাক ছাড়া কিছু শোনা যায় না। অনুষ্কা জানে এই বাড়িটার প্রতিটি ইট, প্রতিটি জানালার শব্দ—কারণ এখানে তার শৈশব কেটেছে। কিন্তু এবার ফিরে এসেছে অন্য কারণে—দাদু মারা গেছেন। আর দাদুর রেখে যাওয়া সব জিনিস গুছিয়ে দেওয়া এখন তার দায়িত্ব। দাদুর ঘরটা যেন সময়ের মধ্যে আটকে আছে। ছিটেফোঁটা ধুলো, পুরনো কাঠের ঘ্রাণ, একটা ঘড়ি যা এখনও টিক টিক করে। জানলার পাশে রাখা কাঠের আলমারিতে পুরনো বই, ফ্রেমে বাঁধানো সাদা-কালো ছবি আর মাঝখানে একটা বড় কাঠের বাক্স। বাক্সটা খুলতেই কেমন একটা ঘর অন্ধকার হয়ে এলো।…