দিব্যজ্যোতি হালদার অধ্যায় ১: বছর সাতেক পর দীপঙ্কর চৌধুরী পা রাখল মুর্শিদাবাদের পুরনো রাজবাড়ির উঠোনে। হাওয়ায় একরকম বাষ্পঘন গন্ধ—পুরনো কাঠ, চুনকাম ধরা দেয়াল, আর দাদুর ব্যবহৃত তেল-সুগন্ধির মিশেল। ইংল্যান্ডে সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করার পর এমন প্রাসাদোপম, অলস অথচ রহস্যময় পরিবেশে ফিরে আসাটা একধরনের সাংস্কৃতিক ধাক্কা। অথচ মনে এক অদ্ভুত শূন্যতা—এই বাড়িতেই তার শৈশব কেটেছে, তার ঠাকুমার সঙ্গে কান্না-মাখা গল্পের সন্ধ্যা, পেছনের বাগানে আমগাছের ডালে দোল খাওয়া, আর গজদরজার সামনে দাঁড়িয়ে ভয়ের মুখোশ পরা কল্পনা। সেই গজদরজা—মুখ্য আকর্ষণ, আর একসাথে সবচেয়ে অদ্ভুত জিনিস এই বাড়ির—আজও একইরকম দাঁড়িয়ে, জং ধরা লোহার দাঁতের মতো নখর ছড়ানো দরজা, যার পেছন থেকে মাঝরাতে কান্নার…
-
-
পর্ণা মজুমদার ১ কলকাতার এক নির্জন কোণে, পুরোনো পাঠাগারের চুপচাপ পরিবেশে প্রজ্ঞনাথ দাস তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারটি করলেন। তিনি ছিলেন এক পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষক, যিনি প্রাচীন তন্ত্র, পুরাণ এবং রহস্যময় গ্রন্থের প্রতি প্রবল আগ্রহী। বহু বছর ধরে তিনি নানা পুরনো গ্রন্থের মধ্যে তন্নতন্ন করে খুঁজে বেড়িয়েছিলেন এমন এক বই, যা তাকে রহস্যের গভীরে নিয়ে যাবে। আজ, সেই বইটি তার হাতে এল, একটি পুরানো এবং ক্ষয়প্রাপ্ত চামড়ার বাঁধনযুক্ত গ্রন্থ। বইটির উপর লেখা ছিল না কিছু, শুধু কিছু জটিল নিদর্শন ও অদ্ভুত চিহ্ন, যা প্রজ্ঞনাথের মনের মধ্যে একটি অদৃশ্য আগ্রহের সৃষ্টি করেছিল। বইটি তার হাতে নেওয়ার পর থেকেই, যেন কিছু একটা ঘটতে…