চৈতালি রায় অধ্যায় ১: রাতটা ছিল ঠান্ডা আর নির্জন। শহরের প্রান্তে থাকা পুরনো গুদামঘরটাকে দিনের আলোয় যতটা ভাঙাচোরা মনে হয়, রাতের আঁধারে ততটাই গা ছমছমে লাগে। কাঁটাতারের বেড়া ঘিরে রাখা জায়গাটায় কেবল একটি লোহার গেট, আর তার পেছনে ঝুলে থাকা আধমরা ফ্লাডলাইট। সে আলো মাঝে মাঝে ঝিমিয়ে পড়ে, আবার হঠাৎ জ্বলে উঠে যেন নিজের অস্তিত্ব প্রমাণ করতে চায়। চিনু, ছায়ার মতো নিঃশব্দ পায়ে হেঁটে ঢুকে পড়ে সেই জায়গায়। শহরের অন্য প্রান্তে দুটো মোবাইল আর একটা মানিব্যাগ চুরি করে সে এখন একটু বড় মাছ ধরার আশায় এখানে এসেছে। খবরে পড়েছিল, এই গুদামে নাকি নতুন ইলেকট্রনিক্স মাল এসেছে—টিভি, ফ্রিজ, ইনভার্টার—যা প্যাকেটবন্দি অবস্থায়…
-
-
সৌমিতা বিশ্বাস অধ্যায় ১: বছর দশেক পর গ্রামে ফিরলো জয়ন্ত। কলকাতার কোলাহল আর ক্লান্ত শ্বাসের শহর থেকে শরতের এক হিমেল সকালে সে যখন লোকাল বাসে চেপে নামল, তখন মাথার ওপর আকাশ যেন ঢেলে দিয়েছে শিশিরভেজা কাশফুলের রাজ্য। বাসস্ট্যান্ডের পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা সেই পুরনো বটগাছটা দেখে বুকের মধ্যে কিছু একটা ধক করে উঠল — অনেকদিন আগে যেখানে দাঁড়িয়ে কুসুম তার স্কুলব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে বলেছিল, “একদিন তুমি যদি চলে যাও জয়ন্ত, আমি কিন্তু ঠিক এই গাছটার নীচে দাঁড়িয়ে তোমার অপেক্ষা করব।” সময় তার কাজ করেছে — গাছটা আজও আছে, তবে তার নিচে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেবেলার কুসুম নেই। গ্রামের মাটিতে নামার সঙ্গে সঙ্গে…