শ্রীরূপা রায় হাওড়া ব্রিজের নিচে, গঙ্গার পাড়ে প্রতিদিন ভোরবেলা একটা ছায়ামূর্তির মতো বসে থাকে এক তরুণ—অনির্বাণ ঘোষ। সারা শহর যখন ঘুমিয়ে থাকে অথবা ব্যস্ত যাত্রার জন্য ব্যাগ গোছায়, তখন সে একজোড়া ছেঁড়া ক্যানভাস জুতো পায়ে, পুরোনো ধূসর রঙের জ্যাকেট গায়ে, হাতে একখানা স্কেচবুক আর চারকোল পেনসিল নিয়ে গঙ্গার ঢেউয়ের দিকে চেয়ে বসে থাকে। পেছনে কুয়াশায় ঢেকে থাকা হাওড়া ব্রিজের বিশাল কাঠামো, সামনের দিকে রোদ্দুরের প্রথম রেখা যখন গঙ্গার বুকে পড়ে, তখন তার চোখে ফুটে ওঠে যেন দীর্ঘ দিনের অপেক্ষার চিহ্ন। প্রতিটি সকাল যেন তার জীবনে নতুন করে সেই পুরোনো প্রশ্নটাই জাগিয়ে তোলে—আজ কি সে আসবে? আজ কি সেই মেয়েটি আবার…
-
-
পল্লবী গাঙ্গুলী ব্রিউড ইন পার্কস্ট্রিট শহরটা তখনও ঠিক জেগে ওঠেনি। সকাল আটটা পার্কস্ট্রিটে মানে একটা অলসতা, একটা হাই তুলতে তুলতে ভাঙা ঘুমের মাধুর্য। কিন্তু ‘ক্যাফে কলকাতা’—এই নামটা যেন একটু অন্যরকম। ওটা একটা ক্যাফে, আর একটা অনুভূতি। পিসক্যাফে নয়, স্টারবাকস নয়, এমনকি ফ্ল্যাবি চিয়ার বা কফিহাউসও নয়। এটা ছিল মায়া আর মশলার কফিতে মেশানো এক ঘরোয়া শহুরে গল্পের ঠিকানা। প্রাচীন লাল ইটের দালানে সবুজ জানালার শেড আর কাঠের ঝুলন্ত বোর্ডে লেখা “Café Kolkata – since 1986”—মোহনদার বাবা শুরু করেছিলেন। তারপর উত্তরাধিকার মেনে চলে এসেছে। এখন সামলায় অনিকেত, শহরের হিপস্টার হিরো। সবসময়ে কাঁধে ঝোলা ব্যাগ, চোখে পুরু ফ্রেমের চশমা, আর কথায় সাহিত্যিক…