রৌনক রায় ১ রাত তখন দেড়টা। সল্টলেকের গলির মুখে জ্বলছে কেবল একটি পথবাতি। সেই হালকা আলোয় ঢাকা পড়ে আছে বিশাল এক ভবনের শেড—যেটিকে বাইরে থেকে সাধারণ কোনো গবেষণাগার মনে হলেও, তার ভেতরে সময় নিয়ে চলছিল এক অকল্পনীয় গবেষণা। ড. অনির্বাণ চৌধুরী বসে আছেন ডেস্কে, সামনে ছড়ানো রয়েছে ঘড়ির যন্ত্রাংশ, একটি প্রাচীন ব্রাহ্মী লিপিতে লেখা চর্মপুঁথি এবং তাঁর সর্বশেষ নির্মিত কোয়ান্টাম পেনডুলাম। সিগারেটের ধোঁয়া ধীরে ধীরে উঠে মিলিয়ে যাচ্ছে বাতাসে, আর তাঁর চোখ জ্বলজ্বল করছে—দীর্ঘদিনের অভ্যাসে তিনি বুঝে গেছেন, আজ কিছু হতে চলেছে। হঠাৎই ঘড়ির কাঁটা, যেটি তিনি নিজেই ডিজাইন করেছিলেন সময়চক্র পরিমাপের জন্য, ধীরে ধীরে থেমে গিয়ে ঘুরে গেল উল্টো…
-
-
তপতী ঘোষাল ১ ঝাড়গ্রামের পাতাঝরা জঙ্গলের ভেতর দিয়ে চলেছে একটা পুরনো জিপ, যার ইঞ্জিনের গর্জন আর পেছনের চাকার কাদামাখা ঝাঁকুনিতে ভেসে যাচ্ছে অরণ্যের শান্তি। বসন্তের শেষ সপ্তাহ, গাছগুলো যেন নিজেদের সবুজ পোশাক খুলে রেখেছে – পাতাগুলো শুকিয়ে পড়ে আছে মাটিতে, যার উপর গাড়ির টায়ার টেনে দিচ্ছে সরু দাগ। জিপের ভিতর বসে থাকা স্পেনীয় গবেষক ড. লুইস রডরিগেজ জানালার বাইরে তাকিয়ে হঠাৎ চমকে উঠলেন—একটা কালো কুড়ুলের মতো আকৃতির কিছু খুব দ্রুত রাস্তা পেরিয়ে গেল। পাশে বসা স্থানীয় গাইড গঙ্গা হাঁসদা বলল, “এইসব কিছু না স্যার… সাপেরা এই সময় খুব সক্রিয় থাকে।” লুইসের ঠোঁটে অদ্ভুত একটা হাসি ফুটে উঠল। সে বহুদিন ধরেই…