সন্দীপন বিশ্বাস অন্ধকারে মোড়া সেই গ্রামে দীপঙ্কর সেনের আগমন যেন এক অদ্ভুত পূর্বাভাসের মতো ছিল। কলকাতার ইতিহাসবিদ ও লেখক হিসেবে তার নাম ছড়িয়ে পড়েছিল, আর তাই গবেষণার তাগিদেই সে এই দূরবর্তী গ্রামে আসে। গ্রামের প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা কালী মন্দিরের পাশে কূপটির কথা সে অনেক আগে থেকেই শুনে এসেছে—লোকমুখে কিংবদন্তির মতো ছড়িয়ে থাকা গল্প যে, রাত নামলেই এই কূপ থেকে অশুভ ছায়ারা বেরিয়ে আসে। শোনা যায়, বহু বছর আগে এখানে এক তান্ত্রিক সাধক তপস্যা করত, আর কূপের অন্ধকার গভীরে তার আত্মা এখনও বন্দী আছে। দীপঙ্কর প্রথম দিনেই গ্রামে পৌঁছে বুঝতে পারে, এখানকার মানুষদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। দিনের আলোতে গ্রামটি দেখতে…
-
-
অমিয় মল্লিক ১ ভোরের ঠিক সেই মুহূর্তে, যখন আকাশের গাঢ় নীল ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে রঙ নেয় কমলা-সোনালি আভা, গ্রামের মানুষদের ঘুম যেন এক অদৃশ্য শক্তি ভেঙে দেয়। একে একে কুঁড়েঘরের দরজা খুলে যায়, উঠোনে আলো ফোটার আগেই গৃহস্থরা চমকে ওঠে—দূর থেকে ভেসে আসছে এক অদ্ভুত সুর, এক চণ্ডীপাঠের গম্ভীর ধ্বনি। মাটির ভেতর থেকে যেন শিকড় টেনে আনে সেই শব্দ, আর সকালের শিউলি গাছের ফুলের মতো বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসী জানে, সেই বাড়িটা বহু বছর ধরে ভাঙাচোরা অবস্থায় পড়ে আছে, তাতে আর কেউ থাকে না। তবু প্রতি মহালয়ার ভোরেই শোনা যায় এই পাঠ। বৃদ্ধারা চোখে আতঙ্ক মাখে, কিশোররা সাহস দেখাতে…