হিমাদ্ৰী ঘোষ ১ মানিক ছিল ছোট্ট এক গ্রামীণ ছেলেবেলা থেকে দুষ্টু আর কৌতূহলী, তবে তার দুষ্টুমির রূপটা অন্যরকম। যখন অন্য বাচ্চারা মাঠে ঘুড়ি ওড়াতো কিংবা নদীর ঘাটে সাঁতার কাটতো, তখন মানিক অচেনা এক জগতে ডুবে থাকতো। সে ভাঙা রেডিওর ভেতর থেকে লাল-সবুজ রঙের তার টেনে বের করতো, পুরোনো ফ্যানের মরিচা ধরা পাখা খুলে এনে হাতে ঘোরাতো, কিংবা ফেলে দেওয়া ব্যাটারির ভেতরের কালো পেস্ট নিয়ে পরীক্ষা করতো। তার চোখে এগুলো নষ্ট জিনিস নয়, বরং একেকটা অজানা খেলার মাঠ। বাবা ছিলেন গ্রামে লোহার কাজের কারিগর, তার হাতের যন্ত্রপাতি অনেক সময় চুপিচুপি নিয়ে গিয়ে মানিক নিজের খেলায় ব্যবহার করতো। মা খেতে কাজ করতেন,…
-
-
মৌসুমী ধর বর্ষার ঠিক পরের সকাল, মাটি তখনো ভিজে, বাতাসে কাদা আর শালপাতার গন্ধ মিশে এক অদ্ভুত নরম ছোঁয়া এনে দিয়েছে গ্রামের বুকে। সেই বটগাছটা, যা গ্রামের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে, শিকড় ছড়িয়ে মাটিকে আঁকড়ে রেখেছে, আর শাখা-প্রশাখা মেলে এমন এক বিশাল ছায়া তৈরি করেছে যেখানে গোটা গ্রামের মানুষ একসাথে দাঁড়াতে পারে—সেই গাছতলায় আজ সকালে অল্পবয়সী রতন বসে আছে এক কোণে, কৌতূহলী চোখে চারপাশের মানুষদের দেখে। ওর চোখে যেন এক অদ্ভুত জ্বালা—সবকিছু বুঝে নেওয়ার, শোনার, শিখে নেওয়ার তাগিদ। একটু দূরেই নববধূ ফুলমতি, মুখ ঢেকে দাঁড়িয়ে, লাজুক চোখে এদিক ওদিক তাকাচ্ছে, গ্রামের মেয়েদের ফিসফিসানি শুনছে; আর গাছের ডালে বসে থাকা দু-একটা…