কলকাতার উত্তরে অবস্থিত “চন্দ্রমোহন কলেজ”-এর হোস্টেলটা শহরের মধ্যে হলেও একেবারে বাইরের অংশে পড়ে। চারদিকের কোলাহলের মধ্যেও হোস্টেলের গেট পেরোনোর পরেই যেন এক অদ্ভুত নীরবতা আচ্ছন্ন করে রাখে জায়গাটাকে। পুরনো লাল ইটের বিল্ডিং, জংধরা লোহার গ্রিল, আর হোস্টেলের চারপাশে ছড়ানো অশ্বত্থ ও কৃষ্ণচূড়ার গাছগুলো যেন দিনের বেলাতেও ছায়া ফেলে রাখে আশপাশে। সোহম মুখার্জি, সদ্য কলেজে ভর্তি হওয়া ছাত্র, বাবা-মায়ের সঙ্গে এসে উঠল ওই হোস্টেলে। তার সঙ্গে একই ঘরে থাকবে রাহুল দে, ওর স্কুলজীবনের বন্ধু, আর তুষার সাহা — এক আধুনিক, সদ্য দেখা হওয়া ফেসবুক-বন্ধু। রুম নম্বর ৭ — তিনতলার এক কোণে, যেটা দেখে মনে হয় অনেক বছর কেউ পরিষ্কার করেনি। সিলিং…
-
-
মনোরঞ্জন পাল ১ চন্দননগরের সেই বিকেলটা ছিল একেবারে অন্য রকম। গরম আর স্যাঁতসেঁতে বাতাসে ভরা বাতাবরণে অরিজিৎ সেনগুপ্তের শরীর বেয়ে ঘাম গড়িয়ে পড়ছিল, কিন্তু তার মন পড়ে ছিল প্রাসাদের ভেতরের অজানা ইতিহাসে। ট্রেন থেকে নেমে রিকশায় চড়ে আসা পথটুকুতে সে শহরের ফরাসি স্থাপত্যের ছাপ লক্ষ্য করছিল—ভাঙা কলাম, জং ধরা ল্যাম্পপোস্ট, আর গঙ্গার তীরে দাঁড়িয়ে থাকা সেই অতিকায় প্রাসাদ, যা যেন কালের ভারে নুয়ে পড়েছে। বাড়িটার বিশাল লোহার ফটক খুলে যাওয়ার শব্দ শুনে তার হৃদয়ে কেমন যেন অজানা শিহরণ জাগল। সে ভাবল, এমন একটা জায়গা, যেখানে ইতিহাস ঘুমিয়ে আছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, সেখানে নিশ্চয়ই লুকিয়ে আছে কোনো অজানা রহস্য, কোনো…