তনয়া সেন বিকেলের শেষ আলোয় যখন সূর্য পাহাড়ের গায়ে ধূসর হয়ে গলে আসছিল, তখনই অরণ্যের বাস এসে পৌঁছল ছোট্ট গ্রামটায়। বাস বলতে আসলে একটা পুরোনো মিনিবাস, জানালার কাচ ঝাপসা, সিটের চামড়ায় ফাটল। গাঁয়ের নাম রাধাপুর—এমন নাম মানচিত্রে খুঁজলেও পাওয়া মুশকিল। তবু অরণ্যের মতো ফটোগ্রাফারের কাছে এই জায়গার টান ছিল অন্যরকম। শহরের কোলাহল, নামজাদা প্রকল্প, নামী রিসর্ট নয়—বরং অচেনা, অনাবিষ্কৃত জায়গার মধ্যে লুকোনো প্রকৃতির ছবি তুলতে তার সবচেয়ে ভালো লাগে। অরণ্যের কাঁধে ঝোলানো ব্যাগটা ভারী, ভিতরে ক্যামেরা, লেন্স, ত্রিপড আর কিছু নোটবুক। বাসস্ট্যান্ডে নেমে চারপাশে তাকাতেই সে বুঝল, এই গ্রাম যেন সময়ের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। কাঁচা রাস্তা, খড়ের চালের ঘর, বাচ্চাদের…
-
-
সঙ্ঘমিত্রা পাল পর্ব ১: ছায়ার চিঠি কলকাতা শহর নিঃশব্দে ঘুমিয়ে ছিল। কিন্তু সেই রাতে, মধ্যরাত্রির প্রান্তে দাঁড়িয়ে, অনির্বাণ ঘোষ বুঝে গিয়েছিল—ঘুম কেবল শরীরের হয়, শহরের নয়। তার জানালার নিচে রাখা কাঠের চেয়ারে, বাতাসে হেলে পড়া একটি খাম, যেন কোনো নিঃশব্দ ছায়া রেখে গেছে নিজের সাক্ষর। খামটা ছিল পুরোনো—হলুদ রঙের, সুতির দাগ লেগে থাকা কাগজে মোড়া, আর মুখ সিল করা রক্তরঙ মোম দিয়ে, যার গায়ে আঁকা ছিল এক অচেনা চিহ্ন—তিনটি পরস্পরসংযুক্ত ত্রিভুজ, যার কেন্দ্র ছিল শূন্য। সে প্রথমে ভেবেছিল, কেউ হয়তো ভুল করে রেখে গেছে। কিন্তু খামটা হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার ত্বক ঠান্ডা হয়ে এল—অস্বাভাবিক এক ঠান্ডা, যেন সময় তার…