অভিজ্ঞান শইকীয়া ১ গুৱাহাটী বিশ্ববিদ্যালয়ৰ কেন্দ্ৰীয় গ্রন্থাগাৰৰ ওপৰফালৰ কোণত এটা ধূলিমলিন পুৰণি সঁচাই থকা শ্বেল্ফ থাকে, য’ত বহুবছৰৰ পুৰণি পাণ্ডুলিপি, দলিল আৰু দস্তাবেজ সযতনে সংৰক্ষণ কৰা হয়। সেইদিনা শীতল শুৱঁনি লগা এপৰালি বতাহৰ ভিতৰত দিগন্ত বৰা—এজন গম্ভীৰ আৰু মনযোগী ইতিহাস গৱেষক—তাঁৰ দৈনিক অভ্যাসৰ দৰে সেই শ্বেল্ফৰ আগত থমকি দাঁড়িল। তেওঁ বিশেষকৈ আহোম যুগৰ সামরিক ইতিহাস আৰু সাংস্কৃতিক নিদৰ্শনৰ ওপৰত গবেষণা কৰি আছিল, আৰু দিনটোৰ প্ৰথমভাগত বিশ্ববিদ্যালয়ৰ উপ-গ্রন্থাগাৰিকই তেওঁৰ কাষত আহি কৈছিল যে, “পুৰণি সংৰক্ষণ বিভাগত কিছুমান নতুনভাৱে সংৰক্ষিত দলিল আছে, হয়তো আপোনাৰ কামত লাগিব।” দিগন্তৰ আগ্ৰহ একেবাৰে জেগাই উঠিল। তেওঁ কাপোৰৰ গ্লাভছ পিন্ধি, সাৱধানে এটা কাঠৰ বাকচৰ ঢাকনি তুলিলে। ভিতৰত…
-
-
সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় পর্ব ১: আগমন কলকাতার শহরে কত রকমের গলি আছে—কোথাও শুধু হালচালহীন ইটের দেওয়াল, কোথাও পুরোনো বারান্দার ফাঁক দিয়ে নীচে ঝুলে থাকা ধুলো-কণার ঝালর, কোথাও অন্ধকার ড্রেনের কানা ধরে বাচ্চাদের খেলা। অথচ শহরের একই শরীরের ভেতরে কতগুলো ভিন্ন আত্মা বাস করে। অর্ণবের জন্য এই শহর ছিল চেনা—ক্লাসে যাতায়াত, কফিহাউসের টেবিলে আড্ডা, কলেজস্ট্রিটের বইয়ের দোকান। কিন্তু যেদিন সে উত্তর কলকাতার সেই গলিতে প্রথমবার ঢুকল, মনে হল অজানা এক শহর খুলে গেছে তার সামনে। মোড়ে একটা ছোট্ট চা-দোকান। দোকানি মিঠুন দা চেনা মানুষ, তবে এখানে দাঁড়িয়ে অর্ণবকে দেখে খানিকটা অবাক। বলল, —“কোথায় যাচ্ছিস? এই রাস্তাটা তোর পথ নয়।” অর্ণব ব্যাগ কাঁধে…
-
সৌমিত্র ঘোষ এক রোহিতের পায়ের তলায় মাটির ধুলো তখনও যেন শুকনো শস্যের মতো মৃদু শব্দ করছে। গ্রামের প্রাচীন স্কুলের অন্দরমহল আজ অনেকটাই বদলে গেছে, তবে তার স্মৃতিগুলো যেন এখনও একই রকম স্পষ্ট। ছোটবেলায় যখন সে এই স্কুলের আঙিনায় দৌড়ঝাঁপ করত, তখন এখানকার দোতলা ভবনের ছাদের নিচে কত গল্প জন্ম নিয়েছিল। আজ, অল্প কয়েক দিনের সংস্কার কাজের কারণে, পুরোনো সেই স্কুলের দেয়ালের কিছু অংশ খোলা হয় এবং সেখানে লুকিয়ে থাকা এক অদ্ভুত বাক্স, এক ধরণের টাইম ক্যাপসুল, রোহিতের চোখে পড়ে। বাক্সটি ধুলোমাখা, লোহার তৈরি এবং পায়ে-মাটির মধ্যে বেশ গভীরে চাপা ছিল। কৌতূহল আর উত্তেজনায় তার হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। কী থাকতে পারে…
-
শুভ্রজিত ঘোষাল অধ্যায় ১ – সূর্যের ডাক ২১শ শতকের শেষ দিকে, পৃথিবীর মহাকাশ পর্যবেক্ষণ প্রযুক্তি এমন এক উচ্চতায় পৌঁছেছে, যেখানে সূর্যের ক্ষুদ্রতম পরিবর্তনও শনাক্ত করা সম্ভব। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের (ISRC) কলকাতা শাখায় সেই রাতে সবকিছুই ছিল স্বাভাবিক। রাত দুইটা পেরিয়ে গেছে, পর্যবেক্ষণ ঘরে শুধুই যন্ত্রের মৃদু শব্দ, আর কম্পিউটার স্ক্রিনে অনবরত ভেসে আসা ডেটা। হঠাৎ, স্যাটেলাইট “সৌরবিকাশ–৭” থেকে আসা লাইভ ফিডে দেখা গেল এক অদ্ভুত সিগন্যাল—তীব্র তাপের সমুদ্রের মাঝে যেন একটি স্থির, ঠান্ডা বিন্দু। ডিউটি অফিসার প্রথমে ভাবলেন, হয়তো সেন্সর ত্রুটি। কিন্তু চেক করার পর দেখা গেল, সব সিস্টেম ঠিকঠাক কাজ করছে। সঙ্গে সঙ্গেই খবর পাঠানো হল ড. সৌম্যদীপ…
-
তিথি বসু পর্ব ১: সেই ভগ্নপ্রায় দরজার শব্দ নদীয়ার কুয়াশা ঢাকা বিকেলে ট্রেন থেকে নামতেই শুভমর মনে হলো সময়টা যেন হঠাৎ করে থমকে গেছে। বাইরের হাওয়া ঠান্ডা, কিন্তু বাতাসের মধ্যে কিছু একটা গুমোট। সে ব্যাগপত্র গুছিয়ে রিকশাওয়ালার দিকে এগোল। “চৌধুরীবাড়ি যাবেন?” জিজ্ঞেস করতেই রিকশাওয়ালার মুখটা কেমন থমথমে হয়ে গেল। “চৌধুরীবাড়ি? ওই যে শ্মশানের পাশে যেটা?” শুভম মাথা নাড়ল, “হ্যাঁ, ওটাই। আমি গবেষণার জন্য এসেছি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমতি আছে।” রিকশাওয়ালা কিছুক্ষণ চুপ করে রইল, তারপর বলল, “আমি ওইদিক যাই না বাবু। ওখানে এখন কেউ থাকেও না।” শেষমেশ অনেক বোঝানোর পরে একজন রাজি হলো। অন্ধকার নেমে আসছিল, আর চৌধুরীবাড়ির পথটা খড়ি গাছ…