• Bangla - তন্ত্র

    তন্ত্রিণীর হাসি

    ময়ূখ দেব রাতের অন্ধকার যখন গ্রামের কোল ঘিরে নেমে আসে, তখন সবকিছু যেন শান্তির জাল ছড়িয়ে দেয়। ঘুমন্ত গ্রামবাসীর মধ্যেই হঠাৎ একটি অদ্ভুত হাসির শব্দ ভেসে আসে বাতাসে, যা এতটাই রহস্যময়ী যে কেউ সঠিকভাবে বোঝে না এটি কার। কেউ বলছে, এটি দেবীর হাসি, যা গ্রামের লোকদের নিরাপত্তা এবং আশীর্বাদ দেয়; আবার কেউ বলে এটি একটি দুষ্টু পিশাচিনীর হাসি, যা রাতের অন্ধকারে মানুষের মন দানবীয়ভাবে কাঁপিয়ে তোলে। হাসিটি কোনোটিই নয়, বরং এক অদৃশ্য শক্তির আবহ, যা গ্রামের প্রতিটি ঘরে অচেনা ভাবনা এবং অশান্তি সৃষ্টি করে। গ্রামের কিছু বুড়ো বলেন, “এই হাসি আমাদের পূর্বপুরুষদের স্মৃতি নিয়ে আসে। কেউ যদি হঠাৎ শুনে, সে…

  • Bangla - তন্ত্র

    ছাই ও শিখা

    অরিত্র মুখার্জী     পর্ব ১: আগুনের চোখ অমাবস্যার রাতে গ্রামের নিস্তব্ধতা যেন অদৃশ্য কোনো হাত এসে একেবারে চেপে ধরত। গঙ্গার তীরের ছোট্ট জনপদ খয়েরপুরে তখন বাতাসও গায়ে লাগতে চাইত না। মাটির ঘরগুলো মৃদু শ্বাসের মতো নিস্তেজ হয়ে থাকত, পুকুরের জলে চাঁদের প্রতিফলন তো নেই-ই, তারকারাও যেন আকাশের কালো পর্দার আড়ালে লুকিয়ে পড়েছে। শুধু মন্দিরের গায়ে, কুঁচকে যাওয়া লালচে ইট আর কালো ধোঁয়া-মাখা দেয়ালের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ছিল সেই প্রাচীন কালীমূর্তি—যার চোখে অদ্ভুত এক জ্যোতি নাকি দেখা যায়। বৃদ্ধরা বলত, “আগুনের চোখ”। তাদের দাবি, প্রতি অমাবস্যার রাতে মূর্তির দু’চোখ হঠাৎই জ্বলে ওঠে যেন কারো গায়ের ভিতর থেকে দাউ দাউ করে আগুন…

  • Bangla - ভূতের গল্প

    ঘড়ির ভিতর মুখ

    ঋজু বসু সাঁইবাবা মন্দিরের পেছনের সরু গলি দিয়ে ঢুকলেই একখানা বাড়ি চোখে পড়ে, তার তিন তলা মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছে যেন নিজের অস্তিত্বের প্রতিবাদে, অথচ প্রতিটি জানালায় জীর্ণ কাচ, প্রতিটি দেয়ালে কুয়াশার দাগ। রামেশ্বর লেন ৩। লোকেরা বলে, ওটা ঘড়িওয়ালা বাড়ি। কারণ বাড়িটার ভেতর যত ঘড়ি আছে, সব থেমে আছে—ঠিক রাত বারোটায়। কেউ বলে সেগুলো আর চলে না, কেউ বলে এগুলো নতুন কারও জন্য অপেক্ষায়। ইতিহাসের গবেষক সায়ন্তিকা সাহা এসব কুসংস্কার মানে না, কিন্তু অলৌকিক স্থাপত্য নিয়ে তার থিসিসের জন্য এই বাড়িটাই সবচেয়ে আকর্ষণীয়। সে সিদ্ধান্ত নেয়, একরাত কাটিয়ে যাবে। সঙ্গে ক্যামেরা, সাউন্ড রেকর্ডার আর তার বন্ধু চন্দন, যার একটাই…