চৈতালি ঘোষ কলকাতার এক আর্দ্র গ্রীষ্মের দুপুরে সায়ন্তনী মুখার্জী তার চেম্বারে বসে ছিল, ডেস্কে জমে থাকা কেস ফাইলের পাতাগুলো উল্টাচ্ছিলেন। জানলার বাইরে থেকে ভেসে আসছিল রাস্তার গরম ধুলো আর রিকশাওয়ালার ক্লান্ত গলার আওয়াজ। এদিনটা অন্য দিনের মতোই ছিল, যতক্ষণ না দরজায় ধীর, দ্বিধাগ্রস্ত কড়া নাড়ার শব্দ হয়। “ভেতরে আসুন,” বলতেই দরজার ফাঁক দিয়ে দেখা যায়, এক তরুণী — বয়স তিরিশের কম — সাদামাটা কটন সালোয়ারে, মুখে চাপা আতঙ্কের ছাপ। তার হাতে এক পাতলা ফাইল আর একটি ছোট ব্যাগ। চেয়ার টেনে বসতে বললেও মেয়েটি প্রথমে বসেনি, যেন নিজেকে সামলাতে পারছে না। অবশেষে বসে, এক গ্লাস জল হাতে নিয়েই সে ফাইলটি সায়ন্তনীর…