• Bangla - কল্পবিজ্ঞান

    নীল প্লাবন ২১২০

    ঋজু দত্ত ১ ২১২০ সালের কলকাতার সকাল যেন এক মহাপ্রলয়ের পূর্বাভাস হয়ে নেমে এসেছিল। একসময় প্রাণচঞ্চল এই শহর তখন অর্ধেক ডুবে আছে গঙ্গার অশান্ত জোয়ারে। আকাশজুড়ে ঘন নীল-ধূসর মেঘের স্তর, যেন সূর্যের আলোকে গ্রাস করে নিয়েছে। লালবাজারের পুরনো রাস্তাগুলো, কলেজ স্ট্রিটের বইয়ের গলি, বউবাজারের পুরাতন অট্টালিকাগুলি—সবকিছু এখন দৃষ্টিসীমার নীচে নেমে গেছে। কেবল ছাদগুলোর কিছু অংশ, ভেসে থাকা কাঠের ঘাট ও পরিত্যক্ত ট্রামলাইন জলরাশির মধ্যে সেতুর মতো ভেসে আছে। বাতাসে ভিজে শ্যাওলার গন্ধ, মিশে আছে মরচেধরা লোহার গন্ধ, যেন শহরের প্রতিটি নিঃশ্বাসে মরণঘণ্টা বেজে চলেছে। আকাশে অস্থির ড্রোন টাওয়ারগুলো অবিরাম চক্কর দিচ্ছে, তাদের মাইক্রোফোনে ভেসে আসছে কণ্ঠস্বর—সরকারের শেষ সতর্কবার্তা: “নিম্নভূমি খালি…

  • Bangla - কল্পবিজ্ঞান

    কার্বন হান্টারস

    নন্দিনী পাল ১ বাতাসটা ভারি ছিল, যেন চোখের পাতায়ও ধুলো জমেছে। ২১৮০ সালের কলকাতা, এখন আর কলকাতা নেই—নাম পাল্টে হয়েছে “এয়ারজোন-৯”। শহরের আকাশে সবুজ নেই, কেবল ধূসর ও গাঢ় বাদামি রঙের এক বিষাক্ত স্তর যা দিনের আলোকেও ম্লান করে দেয়। মানুষ হাঁটে ফিল্টার মাস্কে মুখ ঢেকে, শিশুদের কৃত্রিম ফুসফুসে জন্ম দিতে হয়। আর সেই অদ্ভুত পৃথিবীর এক কোণে, কাঁচের ছাদের নিচে একটি ছোট্ট কেবিনে বসে আছে আরুণিকা সেন, চোখে ক্লান্তি, হাতে ট্যাবলেট, আর সামনে মায়ের বিছানা—ভেন্টিলেটরে নিঃশব্দে শুয়ে থাকা এক জীর্ণ শরীর। মায়ের চোখ বন্ধ, তবে মন খোলা—কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ যেন এ ঘরের একমাত্র জীবনের চিহ্ন। হাসপাতালের এই “অক্সি-ওয়ার্ড” প্রতি…