তিথি রায় রাত্রি নেমেছিল ধীরে ধীরে, যেন শহরের গায়ে গায়ে নরম নীল পর্দা টেনে দিচ্ছিল কেউ। নয়না বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিল, হাতে একটা কাপে শেষ চুমুকের চা। চারতলার উপর থেকে নীচে তাকিয়ে দেখে—পথে আলো জ্বলছে, কিন্তু কারো চেহারা স্পষ্ট নয়। কলকাতার এই অংশটা এতদিনে তার চেনা হয়ে গেছে, তবু এই নির্জনতা যেন তাকে আলাদা করে একটা দুঃখ দেয়। অরিন্দম আজও বাড়ি ফেরেনি—সাংহাতিক কাজের চাপ। নয়না জানে না, সে কি এই নিঃসঙ্গতায় অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে, না এর মধ্যেই কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত আরামের ছায়া আছে। আজ বিকেলে যখন সে ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরেছিল, তখনই ফ্ল্যাটের পোস্টবক্সে একটা অচেনা চিঠি খুঁজে পায়—নীল খামে মোড়ানো,…