শ্রুতি পোদ্দার এক কলকাতার আকাশ সেইদিন সকাল থেকেই ভারী হয়ে ছিল, যেন অনেক পুরনো স্মৃতির মতন চেপে বসেছিল শহরের বুকে। কলেজ স্ট্রিটের দিকে হাঁটতে হাঁটতে অর্ক চট্টোপাধ্যায় নিজের ছায়ার দিকেই তাকিয়ে ছিল, কিন্তু আসলে সে তাকিয়ে ছিল না কিছুতেই—সে যেন হাঁটছিল কোনো অভ্যন্তরীণ টানেই। প্রেসিডেন্সির লাল ইটের বিল্ডিংটা ভিজে গন্ধ ছড়াচ্ছিল, যেটা অর্কর অদ্ভুতভাবে ভালো লাগে। এ শহরের বৃষ্টির মধ্যে একটা নির্জনতা আছে, একটা নিরব অথচ উপস্থিতি-ময় শব্দ—যা ভীড়ের মধ্যেও নিজেকে একা করে তোলে। কলেজ গেটের সামনে এসে দাঁড়িয়ে সে খানিকক্ষণ মাথা তুলে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল—বৃষ্টির জল তখন টুপটাপ পড়ে চলেছে সিগনেট গেটের ওপর। তার পকেটে রাখা ছাতা সে…
-
-
ঋতুপর্ণা বসু শীতের দুপুরে শীত তখন শহরের কাঁধে নেমে বসেছে। কলেজের লাইব্রেরির বাইরের কাঠের বেঞ্চে বসে ছিল অনিরুদ্ধ। তার পরনে ছিল ধূসর সোয়েটার, গলায় মাফলার, আর হাতে ছিল একটিমাত্র বই—জীবনানন্দ দাশের কবিতা। সে বইটা যেমন ছিল, তেমনই তার মনটাও—অদ্ভুত নিঃশব্দ, সময়ের গন্ধ মাখানো। বইয়ের পাতায় চোখ ছিল, কিন্তু মন ছিল বইয়ের বাইরের জগতে। প্রতিদিন বিকেলে লাইব্রেরির সিঁড়ি দিয়ে যে মেয়েটা নামে, আজও সে ঠিক সময়মতো নামছে। তার নাম প্রভা। ছিমছাম পরিপাটি সাজ, নীল-সাদা শাড়ি, কানে ছোট্ট ঝুমকা। চোখে এক অদ্ভুত আভা, যেন কোনো কথা না বলেই সে অনেক কিছু বলে যেতে পারে। অনিরুদ্ধ বহু দিন ধরেই তাকে লক্ষ করে, কিন্তু…