• Bangla - তন্ত্র

    চন্দনবনের কঙ্কালতন্ত্রী

    মৈনাক ভৌমিক ১ পুরুলিয়ার চন্দনবন — নামটি আজও অনেকের কাছে অজানা, যদিও লোকমুখে ছড়িয়ে থাকা বহু গল্পের কেন্দ্রবিন্দু এই অরণ্য। পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তঘেঁষা এই অঞ্চলটি আদিবাসী জনপদের আশেপাশে ছড়িয়ে থাকা ঘন জঙ্গলে ভরপুর, যেখানে আজও সূর্যাস্তের পর কেউ একা পথ মাড়ায় না। অথচ সেখানেই, এক শতাব্দী পুরনো ব্রিটিশ জরিপ মানচিত্রে খুঁজে পাওয়া এক দাগচিহ্ন—“K.T. Akhra (Abandoned)”—ডঃ ঋত্বিক বসুর চোখে পড়ে। বহুদিন ধরে প্রাচীন ভারতীয় তন্ত্রচর্চা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসা এই প্রত্নতত্ত্ববিদ তার টিম নিয়ে রওনা দেন চন্দনবনের উদ্দেশ্যে। তাঁর দলের সঙ্গে ছিলেন ইতিহাসের গবেষক ইরা সেনগুপ্ত, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর অভীক মণ্ডল, তথ্যলিপিকার তৃষা দে এবং স্থানীয় গাইড হিসেবে নিযুক্ত হন নিতাই মাহাতো,…

  • Assamese

    ৰূপহী পথাৰৰ অলিখিত ইতিহাস

    জয়ন্তী বৰা সূৰ্যটো আজিও আগৰ দৰে উঠে, পিঠিত গৰম মেলে, কিন্তু ১৯৪৭ চনৰ এই জুলাই মাহত গোলাঘাটৰ ৰূপহী পথাৰ যেন অলপ বেছি চুপচাপ। ৰামেশ্বৰ হাজৰিকা ৰাতিপুৱাৰে হাঁহ-বগলী উৰা পথাৰখনেদি খোজ দি গৈ থাকোতেই লক্ষ্য কৰিলে—জোনাকিৰ দৰে চকচকোৱা পানীত অলপ ধূলি মিহলি হৈ গৈছে। বতাহত যেন কোনো আশংকাৰ গন্ধ। তেওঁৰ গাৰ গামোচাটো পিঠিত জপিয়াই আছিল, কিন্তু ওঁঠত চিৰচেনেহৰ হাঁহিটো নাছিল। হাঁহিটো যে ক’ত হেৰাল—সেয়া তেওঁ নিজেই নাজানে। গাঁৱখনত আটাইতকৈ ডাঙৰ ধাননি পথাৰ তেওঁৰ; যদিও নাম-ধামতে হাজৰিকা, মনত সদায় আছিল এক কৃষকৰ পৰিচয়। ৰাতিপুৱাৰ পাখি চিঞৰ আৰু গাঁওবাসীৰ হালধীয়া কাপোৰেৰে পথাৰৰ কোণ চাফা কৰা দৃশ্যবোৰই যেন কৈছিল — “সিহঁত হ’ব পাৰে দেশভাগৰ…

  • Bangla - রহস্য গল্প

    সন্ধানী শকুন

    কাজল সরকার কলকাতার পুরনো শহর, যেখানে কালের সঙ্গেই এক এক করে হারিয়ে গেছে অনেক ইতিহাস, সেখানে এক রহস্যময় চুরি অথবা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল। স্থানটি ছিল শহরের এক পুরনো অঞ্চলে, যেখানে অন্ধকার গলিপথ, পুরনো ভাড়াবাড়ি, আর দীর্ঘ ইতিহাস ঘেরা চায়ের দোকানগুলো ইতিহাসের এক অদ্ভুত অনুভূতি সৃষ্টি করে। ঋত্বিক মজুমদার, একজন ইতিহাস গবেষক এবং ব্যবসায়ী, যে কিনা কলকাতার পুরনো ঐতিহ্য নিয়ে কাজ করত, তার বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয় এক অদ্ভুত ঘটনা। পুলিশ প্রথমে ভাবল এটি একটি সাধারণ চুরি, কিন্তু পরে যখন ঋত্বিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়, এবং তার কাছে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রও নিখোঁজ হয়ে যায়, তখন সন্দেহের সৃষ্টি হয়। কেবলমাত্র চুরিই নয়,…

  • Bangla - সামাজিক গল্প

    তিন নদীর মেয়েরা

    অনিরুদ্ধ বাগচী ১ গঙ্গা, পদ্মা আর মেঘনা—তিন নদী, তিন স্রোত, তিন বুকভরা কান্না। এবং সেই কান্নার নিচে চাপা পড়ে থাকা তিনটি মুখ—রোহিমা, পার্বতী, আর নিরু। ১৯৪৩ সালের অগাস্ট মাস। আকাশ যেন প্রতিদিন আগুনে পোড়া ভাতের মতো ঝাঁজালো। সূর্য চৌচির মাটি ফাটিয়ে ঢুকতে চাইছিল মানুষের নাভিমূলে। মাঠ নেই, ফসল নেই, কুয়াশা নেই—শুধু চিৎকার আর খিদে। গঙ্গার ধারে রোহিমার গ্রামটা কখনও মাটি হারায়নি, বর্ষায় শুধু উঠোনে জল দাঁড়াত। কিন্তু এই বছর বর্ষা এল না। আর এল না বাজারের দিকে চালের গন্ধ। তার স্বামী কাসেম ঘাটে কাজ করত। একদিন ঘরে ফিরে বলল, “আজ পাঁচ পয়সার চাল বিশ পয়সায় উঠছে। দু-সপ্তাহের মধ্যে চাল থাকবে…