অনিত চক্রবর্তী এক অর্ণব সেনের চোখে তখন ঘুমের ছায়া নেই, কেবল জেগে আছে অদম্য স্বপ্নের আলো। ল্যাবরেটরির অন্ধকার ঘরখানায় টেবিলজোড়া ছড়ানো যন্ত্রপাতি, নীল আলোতে ঝলমল করা মনিটরের গ্রাফ, আর চারদিকে ছড়ানো অজস্র খসখসে কাগজ। কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে তার গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীদের কাছে পাগলামি ছাড়া কিছু নয়, কিন্তু অর্ণব বিশ্বাস করে—সময় কোনো স্থির জিনিস নয়, বরং এক অদৃশ্য নদী, যেখানে স্রোতের বিপরীতে হাঁটার মতোই অতীতে বা ভবিষ্যতে যাওয়া সম্ভব। সে নিজেকে বারবার বোঝায়, এই আবিষ্কার শুধু বিজ্ঞানের ইতিহাস নয়, মানবজাতিরও নতুন ভোর নিয়ে আসবে। শৈশব থেকেই সে ভবিষ্যৎ দেখার স্বপ্নে বিভোর ছিল—যেখানে প্রযুক্তি সীমাহীন, রোগমুক্ত এক সমাজ, আর মানুষ মহাশূন্যে নিজের…
-
-
সুচেতনা দত্ত অধ্যায় ১: আসর কলকাতার নবাববাড়ি সেই সন্ধ্যায় যেন স্বপ্ন হয়ে উঠেছিল—ঝাড়বাতিতে আলো, আতরের সুবাস, পানের স্বাদে ভারী ঠোঁট, আর আড়ম্বরপূর্ণ শেরওয়ানিতে মোড়ানো অতিথিদের মৃদু গুঞ্জন। মাঝে মাঝে চামচ-চামচির শব্দ, কাঁচের গ্লাসে লেবুর জল, আর পেছনের দিক থেকে সেতারের টানা সুর—সব মিলে এক অভিজাত রাত্রির উপসংহার রচনা করছিল। এই ভোজসভায় উপস্থিত ছিলেন নবাব আহসান উল্লাহ নিজে, তাঁর পাশে সংস্কৃতিভাজন গুণিজনেরা, বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও কবিগণ। কিন্তু সবাই অপেক্ষা করছিলেন যার জন্য, সে তখনও পর্দার ওপারে। কেউ বলছিল, “আজ নাকি নতুন বাঈ এসেছে, লক্ষ্মী নামে।” কেউ মৃদু হাসছিল—“নাম শুনেই তো বোঝা যাচ্ছে, লক্ষ্মী সে বটে। তবে সে কি শুধু নাচবে, না…