ঈশিতা ঘোষ পর্ব ১ একটা অদেখা শহরের নাম কলেজ স্ট্রিটের শেষ মাথায় একটা ছোট কফির দোকান ছিল, যার নাম মনে নেই অর্ণবের। এমনকি তার বাইরের নামফলকটাও আজ মনে করার চেষ্টা করলে, চোখের সামনে শুধু ফ্যাকাশে হলদে রঙটা ভেসে ওঠে। তবু, সেই কফির গন্ধ, টেবিলের কাঠের দাগ, আর এককোণে বসে থাকা মেঘলার চোখের দিকে তাকিয়ে চুপ করে থাকার মুহূর্তগুলো অর্ণবের স্মৃতিতে আজও উজ্জ্বল। মেঘলা তখন সদ্য রেডিওতে কাজ পাওয়া এক স্বপ্নবিলাসিনী, আর অর্ণব তখন কবিতা লেখার ভান করে। তারা কেউই তখন জানত না, চিঠির যুগটা শেষ হতে চলেছে। সে সময় ফোন ছিল, ঠিকই, কিন্তু মেঘলা বলত — “কল করে বললে কথাটা…
-
-
ঋদ্ধিমান চক্রবর্তী পর্ব ১: চিঠির খামে কাঞ্চনজঙ্ঘা পুজোর ঠিক আগের দিন সকালে মিঠির চিঠিখানা হাতে আসে—একটা পুরোনো বাদামি খামে, অদ্ভুত সুন্দর হস্তাক্ষরে লেখা ‘মিতালী সেন’ নামটা ঠিক তার ছেলেবেলার ডাকনামের পাশে। তবে এই ডাকনামটা আজ বহু বছর কেউ ডাকে না, এমনকি নিজের কাছেও মিঠি অনেককাল হয়ে গেছে মিসেস মিতালী বসু। কিন্তু চিঠিটা খুলতেই মনে হল, সময় যেন উল্টোপথে হাঁটতে শুরু করেছে। প্রেরক: প্রমথেশ চৌধুরী। ঠিকানা: সেন ভিলা, হিলকার্ট রোড, দার্জিলিং। তারিখ: ১৯৮৬। মিঠি শিউরে উঠেছিল। ১৯৮৬? তা হলে এই চিঠিটা এখন তার হাতে পৌঁছেছে ৩৯ বছর পরে? চিঠির ভাঁজে আরও ছিল একটি ছোট স্কেচ—হাতের আঁকা, পেনসিলে আঁকা কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া, এক…