তিথি বসু পর্ব ১: তাবিজওয়ালা ঘর শহরের কোলাহলের মাঝখানে, যেখান থেকে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল ঝাপসা দেখা যায়, সেখানেই দাঁড়িয়ে আছে চৌরঙ্গীর একটি পুরনো হোটেল—‘হোটেল সম্রাট’। বাইরে থেকে দেখলে আধুনিক মনে হলেও ভিতরে ঢুকলেই যেন সময় পিছিয়ে যায়—ফিকে আলো, সাদা কাঠের জানালা, আর মোটা মোটা পর্দা যা আলো ঢুকতে দেয় না। সেই হোটেলের ৩১৫ নম্বর ঘর থেকে পাওয়া গেল এক মৃতদেহ। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে—একজন মধ্যবয়স্ক মানুষ খাটে উপুড় হয়ে পড়ে আছেন। ঘরের ভিতর অদ্ভুত একটা গন্ধ—মাটির, ধূপের, আর যেন ভেজা ছাইয়ের গন্ধ। মৃতদেহের পাশে পড়ে ছিল একটি তাবিজ—লাল সুতোয় বাঁধা, তাতে শিকল দিয়ে আটকানো একটা ক্ষুদ্র রৌপ্য বাক্স। এই খুনের…
-
-
পর্ব ১ দেবব্রতের প্রথম রাতের ডিউটি। হাওড়ার পুরনো শিল্পাঞ্চলের এক পরিত্যক্ত টেক্সটাইল ফ্যাক্টরিতে সে নিযুক্ত হয়েছে নতুন রাতের প্রহরী হিসেবে। নাম—প্রতুল টেক্সটাইল মিল। মিল বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় তিন বছর, কিন্তু মালিকপক্ষ এখনো জায়গাটা সুরক্ষিত রাখতে চায়—কোনো সরকারি নোটিশ, জমি দখল বা আগুন যেন না লাগে, এইসব ভেবে একজন নিরাপত্তারক্ষী রাখা হয়েছে। নিঃশব্দ এক জায়গা, চারপাশে ভাঙাচোরা কারখানা, পেছনে এক পুরনো জলের ট্যাংকির নিচে গেট ঘর। সন্ধ্যার পরই মিলের সব আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়, শুধু মূল গেটের একটা নীল আলো ছাড়া। সেই আলোয় আজ প্রথম বসেছে দেবব্রত, মাথায় টুপি, পাশে একটা টর্চ আর বিস্কুটের প্যাকেট। নীলকমল কাকু, যিনি চাকরিটা জোগাড়…