অর্পিতা সেনগুপ্ত ১ ২০২৫ সালের বসন্তকাল। শান্তিনিকেতনের কাঁচা রাস্তার ধুলো তখনো শীতের শেষ হাওয়ায় হালকা হয়ে উড়ছে, আর কৃষ্ণচূড়া গাছগুলোতে ফুটতে শুরু করেছে লালচে ফুল। ভোরবেলা গ্রামের পূর্বদিকে হঠাৎ যেন এক অচেনা কোলাহল নেমে আসে। কাঁচা রাস্তায় ধুলো উড়িয়ে ঢুকে পড়ে কয়েকটি বড় ট্রাক—কেউ বহন করছে বিশাল আলো ঝোলানোর স্ট্যান্ড, কেউ বা কাঠের বাক্সে ভরা অদ্ভুত যন্ত্রপাতি। সঙ্গে রঙিন কভার দিয়ে ঢাকা পোশাকের গাড়ি, আরেকটিতে খাবারের সরঞ্জাম। কয়েকজন লম্বা বিদেশি, গলায় ক্যামেরা ঝুলানো, আর চওড়া টুপিওলা কর্মীরা নামতেই গ্রামের শিশুরা কৌতূহলী চোখে ভিড় জমায়। বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা খেজুর গাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে ফিসফিস করে, “ওরা নাকি সিনেমা তুলবে।” শ্যামলী দত্তের হোমস্টের উঠোন তখন…
-
-
সঞ্জয় মিত্র এক বরফে মোড়া সেই পাহাড়ি শহরে ফেরার সময় অর্ণবের বুকের ভেতর একটা চাপা কষ্ট দানা বেঁধে উঠছিল, যেন প্রতিটি চাকা ঘোরার সঙ্গে সঙ্গে তার হৃদয়ের জঞ্জালগুলো ফিরে আসছিল একে একে। ট্রেন ছাড়ার অনেক আগেই সে জানত—এই ফিরে আসাটা কেবল চাকরির ডাকে নয়, একটা অসমাপ্ত গল্পের মুখোমুখি হওয়া, যার শেষ পাতাটা সে ছিঁড়ে ফেলতে পারেনি। চার বছর আগে মীরা যেদিন এক ভয়াবহ তুষারধসে হারিয়ে গেল, সেইদিন থেকেই শহরটার রঙ তার চোখে ধূসর হয়ে গেছিল। এবার সে ফিরল—পাহাড়, কুয়াশা, আর মৃতপ্রায় স্মৃতির শহরে, সেই কেবিনটায়, যেখানে প্রতিটি জানালা একেকটা অলিখিত কবিতা হয়ে ঝুলে আছে, যেখানে প্রতিটি কাঠের দেওয়ালে মীরার গন্ধ…