রুদ্রনীল চক্রবর্তী ১ কলকাতার এক বর্ষণ-ভেজা সন্ধ্যা। শীতের কুয়াশা তখনও নামেনি, কিন্তু বাতাসে একটা আর্দ্র শীতলতা ভাসছে। অর্ণব মুখোপাধ্যায়, শহরের এক জনপ্রিয় দৈনিকের তরুণ অনুসন্ধানী সাংবাদিক, ডেস্কে বসে খুঁটিয়ে দেখছিলো কিছু খবরের কাটিং। বেশ কয়েকদিন ধরেই তার মন অস্থির—একটি নাম বারবার কানে আসছে, এক অদ্ভুত সংবাদ হিসেবে। নামটি—শ্রীশরণানন্দ মহারাজ। তারাপীঠের এই সাধুর সম্পর্কে শোনা যাচ্ছে এমন সব দাবি, যা সাধারণ মানুষ যেমন বিশ্বাস করতে পারছে না, তেমনি অস্বীকারও করতে পারছে না। নাকি তিনি এমন এক আচার জানেন, যা “দশম দরজা” খুলে দিতে পারে। এই দরজা, কথিত আছে, শুধু মৃত্যু-পরবর্তী আত্মাদের জন্য নয়—এটি নরক ও পৃথিবীর মাঝের গোপন পথ, যা মানবচক্ষুর…
-
-
ঋদ্ধি চক্রবর্তী পর্ব ১: কালির চোখ কলকাতা শহরের মধ্যভাগে, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকা এক পুরোনো পাঠাগার—“রায় রে’ডিং রুম”—তেমন কোনও বিখ্যাত জায়গা নয়। অথচ সেখানে প্রতিদিন দুপুর তিনটার সময় ঠিক এক জন মহিলা এসে বসেন, বাম দিকের দ্বিতীয় সারির তৃতীয় টেবিলে। তাঁর নাম অনামিকা বাগচী। বয়স আটাশ। পেশায় গবেষক, জাদুবিদ্যা ও তন্ত্রশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে তাঁর আসল কাজ শুরু হয় যখন বইয়ের পাতাগুলো শেষ হয়, আর প্রশ্নগুলো মুখে না থেকে ঢুকে পড়ে মগজে। সেদিন দুপুরেও অনামিকা এসে বসেছিল টেবিলটায়। লাল কাপড়ে মোড়া একটা পুরনো খাতা তার সামনে। নাম নেই, লেখকের উল্লেখ নেই। পাতাগুলোতে শুধুই আঁকা—ত্রিকোণ, মন্ডল,…