• Bangla - ভূতের গল্প

    জলঢোঁড়ার ডাক

    অভ্রজ্যোতি সেন ১ সকালবেলা কলকাতার হাওড়া ঘাটে জমে উঠেছিল এক অদ্ভুত রকম উত্তেজনা। পা ছুঁয়ে চলা কুয়াশার ফাঁক দিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছিল একটি বড় ট্রলার, যার মাথায় লটকে থাকা লাল কাপড় বাতাসে কেঁপে উঠছিল। রুদ্র সেনগুপ্ত, ক্যামেরা ঝুলিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা, চোখে ছিল অদ্ভুত এক আলোকছায়ার খেলা। তার চোখে যেন শুধুই দ্বীপ, শুধু রহস্য। এই ডকুমেন্টারি তার জন্য শুধু পেশাদার প্রজেক্ট নয়, বরং এক অদ্ভুত টান—অজানা কিছুর ভিতরে পা ফেলার খিদে। তার সঙ্গেই ছিল ক্যামেরাপার্সন মৃণালিনী পাল—সবাই মিরা বলে ডাকে। চোয়াল শক্ত, চোখে নির্ভীকতা, যেন জঙ্গলও তাকে ভয় পায়। অর্কদীপ সাহা, যাকে সবাই অর্ক নামে জানে, সদা চঞ্চল, সাউন্ড রেকর্ডারের…

  • Bangla - ভূতের গল্প

    কবরস্থান রোড

    অরুণাভ দাশগুপ্ত এক নৈহাটি শহরের এক নিরিবিলি কোণে ছোট্ট একটা গলি, যার নাম শুনেই অনেকের মুখ থমকে যায়—“কবরস্থান রোড”। শহরের অন্য অংশে আলো ঝলমলে বাজার, রঙিন দোকান আর ব্যস্ততা থাকলেও এই গলিটা যেন স্থির এক মৃত অতীতের বুক ছুঁয়ে বেঁচে আছে। পুরনো বাড়িগুলো দাঁড়িয়ে আছে প্যাঁচপেঁচে গলির পাশে, যেন কারো দীর্ঘশ্বাস জমে আছে দেয়ালের ফাটলে। সেই গলিরই একদিকে, ধূসর রঙের তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া নেয় অভিক সেন, তার স্ত্রী তৃণা এবং তাদের চার বছরের ছেলে বিভান। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে এক চিলতে শান্তি আর স্থিরতার খোঁজে তারা কলকাতা ছেড়ে এই শহরে এসেছে। অভিক একজন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক ডিজাইনার, ঘরে বসেই…

  • Bangla - ভূতের গল্প

    আলতা পায়ের ছাপ

    সুদীপ্তা কর ১ সরকার পরিবার বহু পুরোনো। শহরতলির শেষপ্রান্তে, ক্যানেলের ধারে মোটা পাঁচিলে ঘেরা প্রাসাদসদৃশ এক বাড়ি—যার কাঠের দরজার ওপর এখনও খোদাই করে লেখা আছে ‘সরকার ভিলা, ১৯২৩’। প্রবোধ সরকার এখানে জন্মেছিলেন, তাঁর বাবা-মারও জন্ম এই বাড়িতেই। সময় বদলেছে, কিন্তু বাড়ির চালচিত্র, লোহার রেলিং, কাঠের মেঝে—সবই থেকে গেছে ঠিক তেমনি। বিয়ের দিনটা ছিল মাঘের মাঝামাঝি—হালকা শীত, শিউলির শেষ গন্ধ, আর বাড়ি ভরা আলো। বিয়ের কোলাহলের মধ্যে শ্রেয়া এসে পা রাখল এই পুরনো সংসারে, লাল বেনারসীতে ঢাকা মুখে একরাশ লাজ লুকিয়ে। মীনাক্ষী দেবী, নতুন বৌমাকে দেখে অদ্ভুত একটা প্রশান্তি অনুভব করলেন—মেয়েটা যেন একদম শান্ত, পরিণত, গম্ভীর। সে কম কথা বলে, হাসে…