ঊর্মি রায়চৌধুরী ১ সকালটা ছিল শান্ত, যেন প্রকৃতির বুক জুড়ে এক অদ্ভুত শূন্যতা ছড়িয়ে আছে। অর্ণব চৌধুরী ও মৃণালিনী সেন সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভে পৌঁছেই সে শূন্যতাকে অনুভব করেছিল, যেন এ জঙ্গল কেবল সবুজ আর বন্য প্রাণে নয়—গভীর কোনো গোপন স্মৃতিতে পূর্ণ। ওডিশার মায়াবী ঘন বনপথ পেরিয়ে যখন তাদের জিপ গাড়িটা বন বিভাগের অনুমতিপত্রসহ রেঞ্জ অফিসে পৌঁছায়, তখন চারপাশের নিস্তব্ধতা একদিকে শান্তিদায়ক, আর অন্যদিকে অজানা কিছুর পূর্বাভাসের মতো ঠেকছিল। রেঞ্জার রুদ্র বেহেরা, মাঝবয়সী এক চৌকস বন আধিকারিক, সংক্ষিপ্ত হাসি আর কাঠখোট্টা চোখে তাদের অভ্যর্থনা জানালেন। পরিচয়পর্বের পর তিনি তাদের জানালেন, “তোমরা যে জায়গায় যেতে চাইছো সেটা একটু গভীর অঞ্চল, কম লোক…
-
-
অদ্রীশ চক্রবর্তী ১ শৌভিক দত্তের চোখের সামনে পুরনো ছাপাখানার প্রেস মেশিন ক্রমাগত ক্লিক করতে থাকল। ঢাকা গলির ভেতরে, এক কোণে ছাপাখানাটি ঘরছাড়া ও বড্ড পুরোনো হয়ে পড়েছে। দিন-রাত কর্মচারীরা যন্ত্র চালায়, কিন্তু আজ সকালে কিছু অস্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল। পেছনের ডেস্কে বসে ছিল শৌভিক, হাতে ছিল তাঁর দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত কিছু অর্ডার, তবে একটার মধ্যে কিছু অদ্ভুত ব্যাপার ছিল। “এই অর্ডারটা কোথা থেকে এল?” শৌভিক মনে মনে প্রশ্ন করছিল। এই অর্ডারের ঠিকানা ছিল রহস্যময় এবং পুরোপুরি অচেনা—”অনন্তপুর, গোধূলি প্রান্তে”। তাছাড়া, যে-ই অর্ডারটি দিয়েছিল, তার নাম লেখা ছিল “প্রেরক অজ্ঞাত”। এই ধরনের অর্ডার তো কখনো আসে না! তবে অদ্ভুত এক জিনিস ছিল—অর্ডারটি…