সুতপা দাস ১ রাতের ট্রেনটা যেন এক অদ্ভুত ছায়াচ্ছন্ন সুরের মতো ছুটে চলছিল অন্ধকার গাছপালা আর ফাঁকা স্টেশনের পাশ দিয়ে। জানালার কাচে প্রতিফলিত হচ্ছিল ভেতরের ম্লান আলো, আর তার ভেতরেই বসে ছিল অদ্রিজ—এক হাতে বই, আরেক হাতে অচেতনভাবে কলম ঘোরাচ্ছিল। ভিড়ের বগি হলেও চারপাশে নিস্তব্ধতা নেমে এসেছিল, যাত্রীদের অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছে, কেউ কেউ চুপচাপ ফোনের আলোয় স্ক্রল করছে। অদ্রিজ বই পড়ার ভেতর ডুবে থাকার চেষ্টা করছিল, কিন্তু তার চোখ বারবার সরে যাচ্ছিল জানালার বাইরে, অন্ধকারে দৌড়তে থাকা আলো-ছায়ার খেলায়। তার ভিতরটা যেন অস্থির, একাকিত্বের ভার মিশে আছে দেহভঙ্গিতে। ঠিক তখনই দরজার দিক থেকে ধীরে ধীরে এগিয়ে এলো এক মেয়ের পায়ের…
-
-
শঙ্খ সেন অজানা ডাক কলকাতার একটি প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ছাত্রী সুমি। বয়স তেইশ, তীব্র কৌতূহল এবং অদম্য সাহস তার মধ্যে মিশে রয়েছে। সে বিশ্বাস করে, পুরোনো গল্পগুলো সত্যি না হলেও, তাদের মধ্যে কিছু না কিছু গভীর অর্থ থাকে। কিন্তু এই বিশ্বাস কখনোই এত শক্তিশালী হয়ে উঠেনি যতটা শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল যখন সে প্রথমবারের মতো গ্রামে গিয়েছিল, যেখানে কালীপুরাণের রহস্যময় পুস্তকটির কথা শোনা গিয়েছিল। সুমি একটি গবেষণার কাজের জন্য গ্রামে আসছিল, এক অজানা সত্ত্বা, এক রহস্যময় পুস্তক এবং কিছু পুরনো প্রাচীন উপাখ্যান তাকে ডেকেছিল। তার সহকারী, সঞ্জীব, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো পুরাণবিদ্যা বিভাগের গবেষক, তাকে এই গ্রাম সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিল। সঞ্জীব…