মণিরাম দেৱান অৰুণৰ জন্ম আৰু ডাঙৰ হোৱাৰ ঠাই আছিল অসমৰ এটা শান্ত গাঁও, য’ত নদীৰ কূলৰ পোহৰ-ছায়া, ধানক্ষেতৰ সেউজীয়া, বাঁহ-চিকনিধৰ গন্ধ আৰু গছ-বৃক্ষৰ মাজত পোহৰৰ খেলা জীৱনটোক এক অদ্ভুত সুৰত বাঁধি ৰাখিছিল। গাঁওখনত পুৱা উঠিলেই পাখিৰ টনটনিৰ শব্দ, গৰমৰ বতাহত গৰম ধানৰ গন্ধ, বৰষুণৰ সময়ত নদীৰ বতাহত ভিজা মাটিৰ সুবাস—এইবোৰেই আছিল তেওঁৰ জীৱনৰ মূল অংশ। গাঁওখনৰ মানুহৰ সৰলতা, একে থালিৰ ভাত ভাগ কৰি খোৱাৰ অভ্যাস, পঞ্চায়তী সভাত গাঁওবাসীৰ একেলগীয়া সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ, আৰু সন্ধিয়া বাটত ল’ৰা-ছোৱালীৰ ৰঙিন খেলবোৰে জীৱনৰ সাধাৰণতাক অমূল্য কৰি তুলিছিল। তেনেকুৱা পৰিৱেশত অৰুণৰ হৃদয়ত সপোনবোৰ জন্ম ল’লে—এদিন তেওঁৰো চহৰলৈ যোৱাৰ সময় আহিব, নতুন শিক্ষা, নতুন কাম আৰু নতুন…
-
-
অন্বেষা চৌধুরী অধ্যায় ১ আগমনের দিন কলকাতা থেকে শিলংয়ের ফ্লাইটটা ধরার সময় অরণ্যার চোখে একধরনের অদ্ভুত নির্লিপ্তি ছিল। সানগ্লাসের আড়ালে লুকোনো চোখে যেন ক্লান্তির ছায়া ছিল, আবার কোথাও একটা উন্মুখ প্রত্যাশার কাঁচা আলোর রেখাও। গত তিন বছর ধরে মুম্বইয়ের কর্পোরেট জীবন তাকে কেবল কাজের বোঝা আর অনিদ্রার অভিশাপই দিয়েছে। সৃষ্টিশীল মানুষ হয়েও, নিজের মধ্যেকার সৃষ্টিকে সে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলা করে এসেছে; সবকিছু যেন স্বয়ংক্রিয় হয়ে গিয়েছিল—এক রোবোটিক দিনের পর দিন। তাই এক সকালে, চায়ের কাপ হাতে দাঁড়িয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে মুম্বইয়ের ধূসর আকাশের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ মনে হল—আর নয়। কিছুতেই আর নয়। অফিসে ই-মেইল করে দিয়েছিল, “I resign, effective immediately.”…
-
ঋতব্রত সেনগুপ্ত অধ্যায় ১: হাওড়া স্টেশনের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মটা এই মুহূর্তে যেন নিজেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে, সারাদিনের ব্যস্ততা, হইচই আর মানুষের ঢেউয়ের পর এক অপার নিস্তব্ধতায় ডুবে গেছে সে। কেবল মাঝে মাঝে ভেসে আসে ট্রেন ছাড়ার ঘোষণার শব্দ, কিছুটা যান্ত্রিক, কিছুটা নিঃসঙ্গ। স্টেশনের ঘোলাটে আলো, ছায়া আর মাঝেমাঝে হুঁশিয়ারির সাইরেন যেন একরকম কাব্যিক সুর তৈরি করেছে রাতের গভীরে। এই রাত শহরের নয়, এই রাত শুধু প্ল্যাটফর্মের, শুধুই অপেক্ষার। এই নীরবতার মধ্যে, একটি বেঞ্চের এক প্রান্তে বসে আছেন একজন বৃদ্ধ — নাম অরবিন্দ রায়। পরনে ধুতি-পাঞ্জাবি, গায়ে পুরনো সাদা চাদর জড়ানো, চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা। তাঁর পাশে রাখা একটি সুতির ব্যাগ,…