সায়ন্তনী রায় কলকাতার গরম দুপুর। বহুতল অফিসের কাচঘেরা ঘরে এয়ারকন্ডিশনারের ঠান্ডা হাওয়া ঘুরে বেড়াচ্ছিল, কিন্তু ঋতিকা যেন ভেতরে ভেতরে গলতে থাকল। দিনভর প্রেজেন্টেশন আর রিপোর্টের ভিড়ে মাথা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল তার। ডেস্কে বসে থেকে জানালার বাইরে তাকিয়ে যতবার চোখ গেছে, ততবার মনে হয়েছে শহরটা যেন এক অবিরাম দৌড়ের ভিতর আটকে আছে। মানুষ ছুটছে, গাড়ি ছুটছে, আলো ছুটছে—শুধু তার ভেতরটায় থমকে আছে এক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা। সেদিন অফিস থেকে বেরোতেই বৃষ্টি নামল হঠাৎ। একেবারে ঝমঝমে বর্ষণ। ছাতা ছিল না সঙ্গে, ফলে বারান্দার শেডের নিচে দাঁড়িয়ে সে ফোন বের করে ট্যাক্সি বুক করতে চাইলো। তখনই চোখে পড়ল এক চেনা মুখ—অভিষেক। বহুদিন আগের পরিচিত,…
-
-
১ অনিন্দিতা দিনের ব্যস্ততম কাজ শেষ করে অফিসের বাইরে আসে। রাস্তায় হঠাৎ বাতাসের আভাস কিছুটা শান্ত, কিছুটা খটখটে। তিনি পায়ের ধাপে হেঁটে যাচ্ছেন, মাথায় ঘুরছে আজকের অফিসের চাপ আর নির্দিষ্ট মিটিংগুলোর খুঁটিনাটি স্মৃতি। মন খালি করার জন্য চোখে পড়ল রাস্তায় একটি ছোট্ট ক্যাফে, যার বাইরে ধোঁয়াশা-ভরা জানালা আর নরম আলো যেন তাকে টেনে নিল। অনিন্দিতা ভিতরে ঢুকতেই প্রথমে মনে হয়, সে যেন ভিন্ন জগতে প্রবেশ করেছে। কাঠের ফার্নিচার, লো ফ্লোর লাইট, এবং কোমল ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক—সবকিছু এক ধরণের সান্ত্বনা দেয়। তিনি নিজের হাতে মোবাইলটি নিয়ে একটু বসে পড়েন, কিন্তু চোখেরা অজান্তে তাকিয়ে থাকে অভ্যন্তরের দিকে। এবং ঠিক সেই মুহূর্তে, তার চোখ…