• Assamese

    হেপাহৰ পুতলা

    অমৃতাংশু বৰদলৈ সুনীল দাস, এটা নাম যি গুৱাহাটী শিল্প মহলৰ পৰা কেতিয়াবা আগবাঢ়িছিল, এতিয়া মাথোঁ কিছুমান কলা মাটিৰে লিপ্ত এখন ধূলি ধূসৰ কোঠাৰ মাজত। পঁচত্ৰ বছৰীয়া এটা ধূণীয়া ঘৰ, যাৰ বাটৰ কাষত এটা বেলিছৰা ফুলগছ আঁকোৱালি ধৰিছে পকী কুঁহিপাত। পুৰণি দিনৰ দৰেই এদিন শৈশৱৰ চাহনি এখন আছিল সেই ঘৰখনত, কিন্তু এতিয়া তেওঁৰ চকুত কেৱল স্তব্ধতা। শিল্পীসকলৰ বাবে যি গৰ্বৰ গৃহসজ্জা, যি জ্যোতিৰ পৰা সৃষ্টিৰ উদ্ভৱ হয়, সুনীলৰ বাবে সেই ঘৰ এখন ধীৰে ধীৰে তেওঁৰ মানসিক শ্মশান হৈ পৰিছিল। কেতিয়াবা সুনীল বহি থাকি নিজৰ আঙুলিৰে মাটি ছোৱাৰ লগে লগে অনুভৱ কৰিছিল — যেন মাটিৰো তেজ আছে, যেন তাৰো এখন স্পন্দন আছে;…

  • Bangla - ভূতের গল্প - রহস্য গল্প

    ভূতের গলি

    অরুণাভ মৈত্র ১ কলকাতার উত্তর শহর মানেই পুরনো দিনের ছাপ, সময়ের ধুলো জমে থাকা মেঝে, কাঠের জানালার ফাঁকে ঢুকে পড়া রোদের রেখা, আর সেইসব রাস্তা—যেগুলো একসময় কুচকাওয়াজ দেখেছে, আবার অন্যদিকে ত্রাস হয়ে উঠেছে নিঃসঙ্গ রাতে। এমনই এক গলির নাম ‘বটতলা লেন’। নামটা শুনলেই মনে পড়ে যায় বইয়ের পাতা, নাটকের পোস্টার, কিম্বা উনিশ শতকের বিপ্লবীদের গা ঢাকা দেওয়ার কাহিনি। কিন্তু এই গলির ইতিহাস শুধু কাগজে-কলমে নয়—এখানে অলৌকিকতার এক অদৃশ্য ছায়া যেন ছায়ার মতো ঘোরে। লোকে মুখে মুখে বলে, “এই গলিতে কিছু একটা আছে।” কেউ নির্দিষ্ট করে বলতে পারে না কী—কেউ বলে রাত্তিরে হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ একটা কণ্ঠস্বর, কেউ বলে দরজার ফাঁক…

  • Bangla - ভূতের গল্প

    নিঝুম গ্রাম

    বিশ্বরূপ সাহা কলকাতার হাওয়া তখনো গরম, তবু একধরনের অদ্ভুত শূন্যতা ঘিরে ধরেছিল অরুণাভ চৌধুরীকে। তিন মাস আগেই একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে তার সর্বশেষ ডকুমেন্টারি প্রশংসা কুড়িয়েছিল, কিন্তু সে সাফল্য তাকে আর আলোড়িত করত না। ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনে, একদিকে ভেঙে যাওয়া বিয়ে, অন্যদিকে বাবার আকস্মিক মৃত্যু—সব মিলিয়ে সে যেন নিজেকেই হারিয়ে ফেলেছিল। এই মুহূর্তে তার একটাই প্রয়োজন—নিজেকে সরিয়ে নেওয়া, শহরের কোলাহল থেকে দূরে, এমন এক জায়গায় যেখানে না আছে নেটওয়ার্ক, না আছে মানুষের হুড়োহুড়ি, কেবল নিস্তব্ধতা আর অজানা ইতিহাসের গন্ধ। আর এই আকাঙ্ক্ষাই তাকে টেনে এনেছিল বীরভূমের গভীরে অবস্থিত নিঝুম নামের এক ছোট্ট গ্রামে। এই গ্রাম সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানা…

  • Bangla - রহস্য গল্প

    ভগ্ন কুঠিরের প্রতিধ্বনি

    তন্ময় লাহিড়ী নবান্নের আগে বর্ষা থেমে গিয়েছিল, কিন্তু গ্রামের কাঁচা রাস্তা এখনও স্যাঁতসেঁতে। হালকা কুয়াশায় মোড়া মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে সাব্যসাচী রায় তাকিয়ে ছিল ভগ্ন জমিদারবাড়িটার দিকে। ক’টা জানালার কাঁচ নেই, ছাদে আগাছার রাজত্ব, আর দেয়ালগুলোয় গাঢ় সবুজ শ্যাওলা লেপে আছে—তবু, সেই কুঠির যেন সময়ের ভিতর দাঁড়িয়ে আছে এক অমোচনীয় অভিযোগ নিয়ে। শহর কলকাতার জীবন থেকে দূরে, বহু বছর পর সে আবার ফিরে এসেছে বাপ-ঠাকুর্দার ভিটেয়—কিন্তু এভাবে? কুড়িয়ে পাওয়া এক পুরনো চিঠির টানে, যেখানে লেখা ছিল—“কুঠির জেগে উঠেছে, সাব্যসাচী, ফিরে আয়।” পাঠিয়েছিলেন ভবানী দাসী, যিনি তার ছোটবেলায় তাদের বাড়িতে কাজ করতেন, এখন একা থাকেন গ্রামের উপান্তে। সাব্যসাচীর মধ্যে একটা অদ্ভুত টান…

  • Bangla - তন্ত্র

    অমাবস্যার পঞ্চতত্ত্ব

    অভ্র মিত্র অধ্যায় ১: অমাবস্যার আগে শ্যামনগর—পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী এক নিঃস্তব্ধ গ্রাম, যেখানে রাত নামে আগেভাগেই আর কুকুর ডাকে না। চারদিকে যেন অদৃশ্য কিছু চেপে বসে, হাওয়া নিঃশব্দ হয়, আর মাটির ঘরের জানালার কাঁচে প্রতিফলিত হয় না কোনও আলো। অমাবস্যা ঘনিয়ে এলে গ্রামের জীবন থমকে যায়, শিশুদের মুখে হাঁসি থাকে না, আর মায়েরা বাচ্চাদের চোখে কাজল পরে ঘুম পাড়িয়ে দেয়, যেন অজানা কিছু চোখে না পড়ে। শতবর্ষ আগের কথা, এক চণ্ডীপাঠের মঞ্চে নাকি অদ্ভুত এক যজ্ঞ হয়েছিল, যেখান থেকে এক আগুন উঠে পুরো মন্দির গ্রাস করে নেয়। তখন থেকেই চণ্ডীমণ্ডপ ধ্বংসপ্রাপ্ত, আর ওই দিনটিকেই অনেকে গ্রাম ইতিহাসের বিভীষিকা বলে চিহ্নিত করে।…