তমোঘ্ন সাহা অধ্যায় ১: চাঁদেরডিহির ছায়া পুরুলিয়ার পাহাড়ি রাস্তায় হেলেদুলে চলছিল জিপটা। চারপাশে যেন নিস্তব্ধতার শ্বাস পড়ে আছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল। গাছের ডালে বসে থাকা বেজিগুলোও চুপ, যেন কোনও রহস্যের গন্ধ পেয়েছে। অগ্নিবেশ মুখার্জী জানালার ধারে বসে মোটা কাঁচের চশমা ঠেলে সামনে তাকিয়ে আছেন, তাঁর চোখে ক্লান্তি থাকলেও উৎসাহের ঝলক স্পষ্ট। তাঁর হাতে ধরা একটা পুরনো চামড়ার খাতা—চণ্ডীমুখার মন্দির থেকে সংগৃহীত এক তান্ত্রিক পাণ্ডুলিপি, যেখানে কপালকুণ্ডলিনীর গুহার উল্লেখ পাওয়া গেছে। সাথে রয়েছেন তাঁর সহকর্মী ডঃ সরোজিনী রায়, যার চোখে ঝকঝকে বুদ্ধি ও ঠোঁটে লেগে থাকা সংশয়। তাঁদের গাইড জয়ন্তী হাঁসদা বসে আছে সামনের সিটে, একদৃষ্টে পাহাড়ের দিকে তাকিয়ে। তার চিবুকের…
-
-
দেবজয় ঘোষ (এক) কলকাতার উত্তর শহরের শোভাবাজার অঞ্চলে শীতকাল প্রবেশ করার আগেই বাতাসে একটা অদ্ভুত শিরশিরে অনুভব জাগে — যেন গলির অন্ধকার কোণাগুলো আরও গভীর হয়, পুরনো বারান্দাগুলো থেকে ছায়ারা লাফিয়ে পড়ে রাস্তায়। সেই শহরেরই এক কোণে, চৌবাগান স্ট্রিটের শেষ প্রান্তে পড়ে থাকা একটি পুরনো, বন্ধ হয়ে যাওয়া দুর্গা মণ্ডপ — “মিত্র চৌধুরী পরিবার মণ্ডপ” নামে পরিচিত — আজও বেঁচে আছে স্মৃতির মধ্যে, কিন্তু সকালের আলোয়ও কেমন ছায়াচ্ছন্ন লাগে। ঋদ্ধিমা রায়, কলকাতার এক সাহসী তদন্তকারী সাংবাদিক, বহুদিন ধরে এই স্থানটির গুজব নিয়ে শুনে এসেছে— আশ্বিন মাসের প্রতি দশমীর রাতে এখানে ঘটে কিছু অলৌকিক, তান্ত্রিক আচার, যেগুলোর স্বাক্ষী শুধু বাতাস আর…