• Assamese

    জংঘলৰ ৰহস্য

    ৰোহিত গগৈ অধ্যায় ১: অদৃশ্য পথিক অসমৰ জংঘল সবাতেই গভীৰ আৰু রহস্যময়। এয়া সাধাৰণ বনৰ দৰে নহয়—এতিয়া সময়ৰ সলনি, কিন্তু ইয়াৰ গহন তলত ক’ত যেনো কোনো অচেনা শক্তি গোপনে নিশ্বাস লয়। গাঁওখনৰ মানুহে জানে যে এই বন এদিনে শিকারী আৰু গাইডৰ স্বৰ্গ আছিল, কিন্তু বৰ্তমান ইয়াৰ গপ অনাত্মীয় আৰু ভয়াৱহ। গাঁওবাসীৰ মতে, প্রতিমাহে, বছৰত বহু সময়তে কিমান যেনো লোক কোনো চিহ্ন নথকা অৱস্থাত হেৰাই যায়। প্ৰথমে ধৰা হৈছিল বাঘ বা ভালুকৰ আক্রমণ, কিন্তু সিহঁতৰ মৃতদেহ কেতিয়াও ঘূৰাই নোপোৱা হৈছে। এই বনখনত গছৰ পাতৰ শব্দত যেনো অচিনাকি ফুঁফঁনি বাজে, পাখীৰ ডাকত যেনো এক অন্তৰ্যামী সংকেত থাকে, আৰু ৰাতিপুৱাৰ শূন্যতাত গাঁওবাসী দিশহাৰা…

  • Bangla - ভ্রমণ

    মেঘালয়ের লিভিং রুট ব্রিজ

    সোহম ঘোষ অধ্যায় ১ – অজানার ডাক শহরের ব্যস্ত জীবনে আটকে থাকা সেই তরুণ অভিযাত্রীর প্রতিদিনের দিন যেন একঘেয়ে হয়ে উঠেছিল। ভোরে ঘুম থেকে ওঠা, অফিসে ছুটে যাওয়া, ট্রাফিকের শব্দ, যান্ত্রিক মুখের ভিড়—সবকিছু মিলেমিশে এক অনন্ত চক্রের মতো মনে হতো। মাঝে মাঝে জানালার বাইরে তাকিয়ে সে কেবল ভাবত, এর বাইরে কি আর কোনো জীবন নেই? অজানা পথে হাঁটার, নতুন মানুষ ও নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ নেওয়ার আকাঙ্ক্ষা তার বুকের ভেতরে অনেকদিন ধরেই দানা বাঁধছিল। শহুরে আলো ঝলমলে জীবন তাকে কখনোই সম্পূর্ণ তৃপ্তি দিতে পারেনি; বরং তার মনে এক অদৃশ্য শূন্যতার জন্ম দিয়েছিল। একদিন অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে, বইয়ের দোকানে হঠাৎই একটি…

  • Bangla - ভ্রমণ

    হিমালয়ের রঙিন সকাল

    অঞ্জন বসু অধ্যায় ১ – প্রথম স্বপ্নের ডাক কলকাতার ভিড়ভাট্টা, গরম ও ধোঁয়াশা মিশ্রিত শহরের রোদ, এবং অটোরিকশার ক্লান্তি—সব মিলিয়ে এক অদ্ভুত চাপের অনুভূতি তৈরি করে। এক তরুণের মনে শহরের এই গণ্ডগোল, কোলাহল ও মানুষের আনাগোনা যেন শ্বাসরোধ করে দিচ্ছে। অফিসের কাজ, বন্ধুবান্ধবের হট্টগোল, সামাজিক আবদ্ধতা—সবই তার মনকে ক্লান্ত করে দিয়েছে। সে জানে, শহরের ব্যস্ততা কখনোই তাকে পরিপূর্ণতা দিতে পারবে না। রাতের অন্ধকারে যখন তার কক্ষের জানালা দিয়ে দূরের আকাশের তারা মেলে, তখন সে স্বপ্ন দেখে পাহাড়ের শান্তির, নীরবতার, এবং প্রকৃতির অসীম সৌন্দর্যের। তার হৃদয় খুঁজে বেড়ায় এমন এক জায়গা যেখানে শব্দ কম, বাতাস বিশুদ্ধ, আর চিন্তা মুক্ত। সেই রাতের…

  • Assamese

    মণিৰ খোজ

    ৰূপকেশ শইকীয় অৰুণৰ জীৱন সেই দিনটোৰে আৰম্ভ হৈছিল, যেতিয়া তেওঁ দেখিলে মাক তীব্ৰ অসুখত পৰা অৱস্থাত। গাঁওখনৰ সৰু ঘৰখনৰ কোঠাত মাক বেডত শুই আছিল, মুখত বেছি জ্বৰ আৰু শৰীৰত অস্বাভাবিক দুর্বলতা দেখা গৈছিল। অৰুণৰ হৃদয় কঁপিবলৈ ধৰিলে, কিয়নো মাক তেওঁৰ বাবে সকলো আছিল—দুখৰ সময়ত আশ্ৰয়, আনন্দৰ সময়ত হাঁহিৰ উৎস। গাঁওখনৰ চিকিত্সকে মাকক ওষুধৰ পৰামৰ্শ দিলে, কিন্তু সেই সকলো চেষ্টা কোনো প্ৰভাৱ দেখুওৱা নাছিল। অৰুণ চকু ভৰাই কান্দিবলৈ ধৰিলে, মাকৰ দুখ আৰু কষ্টৰ আগ্ৰহত তেওঁ নিজক অসহায় বুলি অনুভৱ কৰিলে। তেওঁ অনুভৱ কৰিলে, কোনো সাধাৰণ চিকিত্সা, কোনো সৰু গাঁওৰ ডাক্তৰৰ সলাহ, মাকক বাঁচাবলৈ যথেষ্ট নহ’ব। অৰুণৰ মনত দৃঢ় সংকল্প জন্ম ল’লে—তেওঁ…

  • Bangla - ভ্রমণ

    অরণ্যের পথে

    অমিত ধর ১ সকালবেলার ট্রেন থেকে নেমে দলটি যখন বিষ্ণুপুর স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে পা রাখল, তখনো শহরের আকাশে ছিল কুয়াশার হালকা চাদর। শীতের সকালের সেই আর্দ্র ও শীতল বাতাসের মধ্যে দূরে কোথাও বাজছিল মন্দিরের ঘণ্টা, যা মিলেমিশে এক ধরনের মিষ্টি শান্তি এনে দিচ্ছিল মনকে। চারপাশে ছড়িয়ে ছিল ধূসর কুয়াশার আচ্ছাদন, আর তার ফাঁক দিয়ে মাঝে মাঝে দেখা যাচ্ছিল লাল ইটের প্রাচীন টেরাকোটা মন্দিরের মাথা, যেন ইতিহাসের ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে। অরিজিৎ কাঁধের ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করে মুহূর্তগুলো ধরে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল—কুয়াশার মধ্যে উঁকি মারা শিখর, প্রাচীন অলঙ্করণে ভরা মন্দিরের দেওয়াল, আর সকালের হাটে আসা মানুষের ভিড়। প্রিয়া নোটবুক খুলে…

  • Bangla - নারীবিষয়ক গল্প - সামাজিক গল্প

    প্রান্তির স্বপ্ন

    অনিন্দিতা ঘোষ পাল ১ প্রান্তি ছিল গ্রামের একেবারে সাধারণ মেয়ে। কাঁচা মাটির ঘর, উঠোনে মাটির চুলা, আর সারাদিন খাটুনি খাটা বাবা-মা—এই ছিল তার বেড়ে ওঠার পরিবেশ। তবে তার মধ্যে এক অন্য রকম প্রাণ ছিল। চারপাশের মেয়েরা যখন মাঠের ধারেই লাজুক হয়ে বসে থাকত বা পুতুল নিয়ে খেলত, তখন প্রান্তি ছেলেদের সঙ্গে দৌড়ঝাঁপ করতে বেশি ভালোবাসত। স্কুল থেকে ফিরে বইখাতা ফেলে দিয়ে ছুটে যেত পাড়ার মাঠে। সেখানে ফুটবল খেলছিল বড় ছেলেরা, তার চোখে পড়ল বলটা কীভাবে এপাশ-ওপাশ দৌড়চ্ছে, ছেলেরা কেমন মন দিয়ে তাড়া করছে। প্রথমবারের মতো তার মনে হল, “এই খেলাটার মধ্যে যেন এক যাদু আছে।” মনে হল, ফুটবলের ওই গোল…

  • Bangla - কল্পবিজ্ঞান - রহস্য গল্প

    অদৃশ্য নগরী

    দেবপ্রতিম সাহা কুহেলি দত্তের প্রতিদিনের কাজ ছিল একঘেয়ে অথচ ভীষণ মনোযোগের—স্যাটেলাইট ডেটার অগণিত ছবি বিশ্লেষণ করা। দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গল অঞ্চলের মানচিত্র সে তৈরি করছিল তার গবেষণার জন্য, বিষয় ছিল ভূ-পরিবেশ পরিবর্তনের প্রভাব। দিনের পর দিন চোখের সামনে আসছিল নদীর প্রবাহ বদলানো, বনাঞ্চলের সবুজ কমে যাওয়া কিংবা গ্রামের বিস্তার। কিন্তু সেদিন রাতের স্যাটেলাইট ছবিতে তার চোখ হঠাৎ স্থির হয়ে গেল। ঝাপসা একখণ্ড ফ্রেমে সে দেখতে পেল অদ্ভুত জ্যামিতিক রেখা—আয়তক্ষেত্র, অর্ধবৃত্ত আর সোজা প্রাচীরের মতো দাগ একসঙ্গে মিলেমিশে আছে। এগুলো প্রকৃতির তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নেই, কিন্তু মানচিত্রে সে জায়গায় কোনো গ্রাম নেই, কোনো জনবসতি নেই, এমনকি সরকারি রেকর্ডেও নেই কোনো নির্মাণ। সে প্রথমে…

  • Assamese

    তেজস্বিনী

    মীনাক্ষী কলিতা ১ বিকেল ৫টা মান হ’ব, গুৱাহাটীৰ দক্ষিণচৰালিত থকা চন্দ্ৰবিন্দু হস্পিতেলৰ আগত এখন সাদা টয়োটাৰ কেমেৰী হঠাৎ থমকি ৰ’ল। মাটি জুৰি গাড়ীৰ চাকা ঘূৰি থকাৰ শব্দতেও এনে এটা গুৰুত্বৰ অনুভৱ আছিল যেন ভিতৰত থকা মানুহজনে চিঞৰি ক’লে—”হেঁপাহৰ অন্ত হ’ব আজিৰে ৰাতিত!” ডাঃ সুজয় গগৈ, এগৰাকী যশস্বী নেফ্ৰলজিষ্ট, গাড়ীৰ পৰা নামি ক্লিনিকৰ ভিতৰলৈ গ’ল; তেওঁৰ মুখত এটা চিন্তাশীল, গম্ভীৰ ভাব, কিন্তু ফোনটোত বাৰে বাৰে চাব খোজা এটি মেসেজ—”জানোঁ, আপুনি আৰু পিছু হঠিব নোৱাৰিব। আজিৰে নিশা, এফ বেল্টোলি ডিপ’.” ঠিক এই সময়তে, ক্লিনিকৰ গেটৰ কেমেৰাত এক আচৰিত দৃশ্য ধৰা পৰিল—ডাঃ গগৈয়ে ভিতৰলৈ সোমোৱা মুহূৰ্ত্তত এটা ক’লা ভেন সাৱধানে আগবাঢ়ি আহি টয়োটাৰ…

  • Bangla - রহস্য গল্প

    গহনপুরের গুপ্তধন

    অর্ণব গুহ অধ্যায় ১: হারিয়ে যাওয়া নোটবই গহনপুর – নামটায় এক রকম রহস্য আছে। বাঁকুড়া জেলার শেষ প্রান্তে অবস্থিত এই ছোট্ট গ্রামটার ইতিহাস কতদূর ছড়িয়ে, কেউ তা স্পষ্ট বলতে পারে না। জঙ্গলে ঘেরা, পিচঢালা রাস্তা যেখানে শেষ হয়েছে, সেখানেই এই গহনপুর। গ্রামের মধ্যে এখনও কিছু টালির ছাউনি ঘর, একটা ভাঙা জমিদার বাড়ি আর একটা প্রাচীন শিবমন্দির—কোনটা কবে তৈরি, সঠিক কেউ জানে না। সেই গহনপুরেই পৌঁছল তিনজন বন্ধু—সুদীপ্ত, ঐন্দ্রিলা আর বাপি। কলকাতার স্কুলজীবনের বন্ধুত্ব এখন কাজের চাপে একটু আলগা হলেও, এই রহস্যময় আমন্ত্রণ তাদের আবার এক করল। “এই বাড়িটা তো একেবারে হন্টেড সিনেমার মতো!”—বাপি গাড়ি থেকে নামতে নামতে বলে। ঐন্দ্রিলা একটু…

  • Bangla - রহস্য গল্প

    গুপ্তধনের ছায়ায়

    অর্ণব গুহ পর্ব ১: পুরনো পাতার গন্ধে বৃষ্টির পর বিকেলের আলোটা যেন গড়বেতার আকাশে রূপকথার পর্দা টেনে দিয়েছে। মাটি থেকে ধোঁয়ার মতো জলীয়বাষ্প উঠছে, যেন মাটিও নিঃশ্বাস নিচ্ছে। রিমি জানালার পাশে বসে ছুঁয়ে দেখছিল তার ঠাকুরদার পুরনো নোটবুকটা। হলুদ হয়ে যাওয়া পাতাগুলোর গায়ে ঘামের মতো ছাপ, পুরনো কালি ঝাপসা, কিন্তু কিছু লেখা এখনও পরিষ্কার— “যদি খুঁজে পাও সেই লাল পাথর, তার নিচে শুয়ে আছে কুড়ি কুড়ি স্বর্ণমুদ্রা—বজ্রসেনের রেখে যাওয়া উত্তরাধিকার। কিন্তু তার আগে পেরোতে হবে বাঘের গুহা, মৃত জলের কুয়া, আর রক্তলাল মহুল গাছ।” রিমি একগাল হেসে উঠে চিৎকার করে ডাকল, “আকাশ! ঈশান! তুহিন! তোরা একবার দেখ তো!” আকাশ, যে…