ঋতম ঘোষ এক নতুন অফিসে প্রথম দিনটা যেন এক অচেনা জগতে প্রবেশ করার মতো ছিল। ভোরবেলা থেকেই অদ্ভুত এক উত্তেজনা আর ভয় কাজ করছিল মনে। বাসা থেকে বেরোনোর সময় মায়ের কণ্ঠে আশীর্বাদ শোনার পরও মনে হচ্ছিল, কিছু একটা বদলাতে চলেছে জীবনের ছন্দে। লিফট থেকে নেমে যখন বিশাল কাচের দরজার সামনে দাঁড়ালাম, তখন দেখলাম ভেতরে ব্যস্ততার সমুদ্র বইছে। প্রত্যেকেই নিজের কাজে নিমগ্ন, কম্পিউটারের কিবোর্ডে আঙুলের শব্দ, ফোন কলের তাড়া, আর মাঝে মাঝে সহকর্মীদের হালকা কথাবার্তা—সব মিলিয়ে এক আলাদা পরিবেশ। পরিচয় পর্ব শেষ হতেই ডেস্ক দেখিয়ে দেওয়া হলো, আর তখনই তার সঙ্গে প্রথম দেখা। খুব সাধারণ চেহারা, তবে চোখের দৃষ্টি ভিন্নরকম—শান্ত, গভীর,…
-
-
অর্কদীপ ঘোষ ১ আষাঢ়ের এক শেষ বিকেল। ধূলিধূসর রাস্তা পেরিয়ে রাধিকার গাড়ি এসে দাঁড়াল শান্তিনিকেতনের এক পুরনো বাড়ির সামনে—দোতলা, লালমাটির ধুলোয় লেপা উঠোন, চারপাশে পেঁচিয়ে ওঠা মাধবীলতা আর ঘন পাতা গন্ধরাজ গাছের ছায়া। জানালার গরাদে কাঁটা লতাভরা স্মৃতি আটকে আছে, যেন কেউ সময়কে ছেঁচে রেখে দিয়েছে ওই দেয়ালের ফাটলে। এক সময় এই বাড়ির প্রতিটি কোণা তার চেনা ছিল—দাদুর বইয়ের আলমারি, মামিমার হাতের লুচির গন্ধ, আর উঠোনের কোণায় দাঁড়িয়ে থাকা সেই বিশাল গন্ধরাজ গাছ, যার তলায় একদিন ঋষভ দাঁড়িয়ে বলেছিল, “তুই চলে যাবি তো ঠিকই, কিন্তু এই গন্ধটা থেকে যাবে। জানবি আমি কাছে আছি।” আজ বছর তেরো পর রাধিকা সেই…