সুশান্ত নস্কর গ্রামটা ছোট হলেও রহস্যে ভরা। চারদিকে সবুজ ধানখেত, মাঝে কাঁচা রাস্তা আর পাড়াগাঁয়ের সেই স্নিগ্ধ নীরবতা—দিনে যত শান্ত, রাতে ঠিক ততটাই অদ্ভুত। শীতের শেষ আর গরমের শুরু, মাঝের সময়ে হঠাৎই গ্রামে ছড়িয়ে পড়তে লাগল এক ভয়ানক গুজব। মানুষ বলে, মাটির ভেতর থেকে ভেসে আসে কণ্ঠস্বর—কখনো বিলাপের মতো, কখনো প্রার্থনার মতো, আবার কখনো এমন এক অস্পষ্ট আহ্বান, যা শুনে শরীরে কাঁটা দেয়। প্রথম প্রথম দু-একজন গ্রামবাসী শুনলেও পরে অনেকে একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে লাগল। কৃষক নিত্যানন্দ একরাতে গরু ঘরে বাঁধতে গিয়ে শুনেছিল অচেনা কারও কান্না। ভাবল হয়তো পাশের জমির খাঁজে কোনো মানুষ আটকে আছে। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখে কিছুই…
-
-
শৌনক দে গ্রামের সীমানা অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে অনিরুদ্ধ সেন অনুভব করলেন যে, এখানে কোনো সাধারণ শীতলতা নেই; বরং এক অদ্ভুত শীতলতা আছে, যা হাড় কাঁপানোর মতো ঠান্ডা না হলেও, মনকে স্থির করে, চুপচাপ করে রাখে। গ্রামটি চুপচাপ, রাস্তার ধুলো উঠছে নিঃশব্দে, এবং বাতাসে যেন অদৃশ্য কোনো দমনের গন্ধ ভাসছে। গ্রামের মানুষের চোখে এক অদ্ভুত আতঙ্ক, যা তাদের মুখের হাসিকে নিঃশেষ করে দিয়েছে। তারা খুব সাবধানভাবে চলাফেরা করে, যেন কোনো অদৃশ্য চোখ তাদের প্রতি তাকিয়ে আছে। অনিরুদ্ধ একটি ছোট কুঁড়েঘরের কাছে রিকশা থামালেন, যেখানে গ্রামের মানুষ সাধারণ জীবনযাপন করছে বলে মনে হলেও, তাদের আচরণে যেন প্রতিটি মুহূর্তে এক অনিশ্চয়তার চাপ…