ঈশিতা ঘোষ পর্ব ১ একটা অদেখা শহরের নাম কলেজ স্ট্রিটের শেষ মাথায় একটা ছোট কফির দোকান ছিল, যার নাম মনে নেই অর্ণবের। এমনকি তার বাইরের নামফলকটাও আজ মনে করার চেষ্টা করলে, চোখের সামনে শুধু ফ্যাকাশে হলদে রঙটা ভেসে ওঠে। তবু, সেই কফির গন্ধ, টেবিলের কাঠের দাগ, আর এককোণে বসে থাকা মেঘলার চোখের দিকে তাকিয়ে চুপ করে থাকার মুহূর্তগুলো অর্ণবের স্মৃতিতে আজও উজ্জ্বল। মেঘলা তখন সদ্য রেডিওতে কাজ পাওয়া এক স্বপ্নবিলাসিনী, আর অর্ণব তখন কবিতা লেখার ভান করে। তারা কেউই তখন জানত না, চিঠির যুগটা শেষ হতে চলেছে। সে সময় ফোন ছিল, ঠিকই, কিন্তু মেঘলা বলত — “কল করে বললে কথাটা…
-
-
ঈশিতা সেনগুপ্ত জানলার ওপারে কলকাতার উত্তরের এক পুরনো পাড়ায়, লাল ইটের তিনতলা বাড়িটা বহু দিনের সাক্ষী। উঠোনজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুরনো ফুলদানি, জং ধরা বাইসাইকেল, আর সবথেকে দৃষ্টিনন্দন—একটা ঘন পাতা কদমগাছ। সেই গাছের নিচে প্রতিদিন সকালে বসে এক ছেলেটা, তার কোলে একটা স্কেচবুক, হাতে পেন্সিল—নিস্তব্ধ ঘোরে ডুবে যায় নিজের আঁকায়। ছেলেটির নাম অয়ন। অয়নের জীবনের ছন্দ বড়ো একঘেয়ে ছিল। আঁকাআঁকি আর কদমগাছের নিচে বসে থাকা ছাড়া সে খুব একটা কারো সঙ্গে মেশে না। পড়াশোনার দিন পেরিয়ে, সে এখন ঘরে বসেই গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে। পাড়ায় বহুদিনের বাসিন্দা, তাই কারও চোখে নতুন নয়। তবে হঠাৎ করেই সব বদলে গেল, যেদিন জানালায় সে…