সুশান্ত নস্কর অধ্যায় ১ – নিঃসন্তান দম্পতির আশা রবি ও রুমার সংসারটি গ্রামের সাধারণ জীবনের মধ্যে গভীর শান্তি ও এক ধরনের অদৃশ্য দুঃখ বহন করত। বহু বছর ধরে তারা নানা চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়েও সন্তানের আশায় ব্যর্থ হয়েছেন। প্রতিটি মাসের প্রথম এবং শেষ দিনগুলো যেন তাদের জীবনে অতিরিক্ত চাপ ও হতাশা নিয়ে আসে। রুমা প্রায়শই তার কোল গলে শিশুর কল্পনা করে, স্বপ্নে সেই কল্পিত শিশুকে দেখে হেসে ওঠে, আবার কখনও চোখের কোণে অজান্তেই জল আসে। রবি চেষ্টা করে সংসারের কাজকর্ম ও তার চাকরিতে মন দিতে, কিন্তু রুমার চোখে যে দুঃখের ছায়া, তা তিনি কখনো এড়াতে পারেন না। তারা শুনেছে…
-
-
গ্রামের নাম ঘোলশ্বরীপুর। নদিয়ার বিস্তীর্ণ প্রান্তরে, পদ্মা নদীর এক পুরনো শাখার ধারে গড়ে ওঠা এই গ্রাম বহু শতাব্দীর পুরোনো। শস্যে ভরা মাঠ, ঘন বাঁশঝাড়, আর ভাঙন–খাওয়া কাদামাটি মেশানো গলিঘুপচি পথ দিয়ে ছড়িয়ে আছে মানুষের বসতি। দিনের বেলা এখানকার জীবন ঠিক যেমন সরল, তেমনি হাসিখুশি; কিন্তু রাত নামলেই এক ভিন্ন ছায়া নেমে আসে এই জনপদে। গ্রামের সবচেয়ে বড় রহস্য হল মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল তেঁতুলগাছ। গ্রামের বৃদ্ধেরা বলেন, এই গাছ অন্তত চারশো বছরের পুরোনো। এর ছায়ার নীচে একসময় পুঁথি পাঠ হতো, বউভাতের ভোজ বসত, আবার মহামারীর সময় কবরও দেওয়া হয়েছে এরই তলায়। কিন্তু যত পুরোনো স্মৃতি তেঁতুলগাছ ঘিরে রয়েছে, ততই…
-
অধ্যায় ১: বাকচটো পোৱা যায় হাবড়া চাহ বাগানত সন্ধিয়াৰ আকাশখন যেন জুইৰ ৰঙেৰে পুৰি উঠিছিল। সন্ধিয়াৰ ধোঁৱাবিলাক পাতল পাতলকৈ ওলাই আহিছিল লাহে লাহে গছপুলি আৰু টিনেৰে ছোৱা শিপাই ঘৰবোৰৰ মাজৰপৰা। জোনাক বেলিৰ শেষ আভা বাগিচাখনৰ শেষ ৰাস্তাটোত হেলানি মাৰি পৰি আছিল—য’ত এখন জাৰ্জৰিত কাঠৰ ঘৰৰ আগত থিয় আছিল নৱজ্যোতি বৰুৱা। তেওঁৰ হাতত এখন ক’লা ফটোগ্ৰাফি কেমেৰা, কাঁধত বেগ, আৰু চকুত এক ধৰণৰ অনুসন্ধানী কৌতুহল। নগৰীয়া জীৱনৰ ব্যস্ততা এৰি তেওঁ আহিছিল ইয়ালৈ—এই চাহ বাগিচা, যি কেতিয়াবা তেওঁৰ দেউতাৰ শৈশৱৰ সোঁৱৰিত আছিল। কিন্তু তাৰ উপৰিও, তেওঁ খুজিছিল এক ধৰণৰ গল্প, কিবা অলেখিত ইতিহাস, এক বুৰঞ্জী যি বহুকেই দশক আগৰ পৰা মাটিৰ তলত…