সহেলী দেব অগ্নিশিখা দত্ত ছিলেন এক মফস্বল শহরের সাধারণ স্কুলশিক্ষিকা, কিন্তু তার ভেতরে ছিল অদ্ভুত এক দীপ্তি, যা বাইরের সাধারণ চোখে ধরা পড়ত না। শাড়ির আঁচল গুঁজে স্কুলে গিয়ে তিনি যেমন মাটির গন্ধে ভিজে থাকা খড়ের ছাউনিওয়ালা শ্রেণিকক্ষে মেয়েদের পড়াতেন, তেমনি দিনের শেষে ঘরে ফিরে নিজের বুকের ভেতর জমতে থাকা অস্থির স্বপ্নকে আঁকড়ে থাকতেন। ছোটবেলা থেকেই বই ছিল তার নিঃশ্বাসের মতো—বইয়ের পাতায় সে খুঁজে পেয়েছিল পৃথিবীর অচেনা দরজা, ইতিহাসের আলো, আর ভবিষ্যতের কল্পনা। অথচ তার গ্রামে মেয়েদের হাতে বই পৌঁছাত না, তারা বইকে দেখে শুধু পড়াশোনার বোঝা ভেবেই ভয় পেত। অনেক মেয়েই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হতো, কেউ কেউ সংসারের…
-
-
প্রেরণা দত্ত এক সকালবেলা স্কুলের ঘণ্টা বাজতেই মফস্বল শহরের মেয়েদের স্কুলের ক্লাসরুম ভরে ওঠে কোলাহলে। দেয়ালের রং অনেক জায়গায় খসে পড়েছে, বেঞ্চিগুলো পুরনো আর খটখটে, জানালার কাচ ভাঙা বলে আলো ঢোকে টুকরো টুকরো হয়ে। এই ক্লাসেই দাঁড়িয়ে থাকেন ইতিহাসের শিক্ষিকা সুবর্ণা দত্ত। বয়স ত্রিশের কোঠা পেরোলেও চোখে যেন এক আশ্চর্য দীপ্তি লেগে আছে। তিনি যখন বোর্ডে ইতিহাসের কথা লিখে বোঝাচ্ছিলেন, তখন তার চোখ হঠাৎ আটকে গেল ছাত্রীদের মুখে। অঞ্জলি, মীরা, গৌরী, ফারজানা—তাদের চোখে অদম্য কৌতূহল, কিন্তু সেই কৌতূহলের পাশে যেন অসহায়ত্বও ভেসে উঠছিল। ক্লাসের শেষে তিনি খেয়াল করলেন, বই পড়তে গিয়ে মেয়েরা বারবার একে অপরের কাছে বই চেয়ে নিচ্ছে। অনেকেরই…