সোমা মিত্র আমার স্মৃতি পুরোনো অ্যালবামের মতো—কিছু ছবি রঙ হারিয়েছে, কিছু এখনো ঝকঝকে। উত্তর কলকাতার যে বাড়িটাতে আমার জন্ম, সেই লালবাড়িটা এখন আর নেই। সেটার জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে চকচকে অ্যাপার্টমেন্ট, নাম—“মঙ্গলতারা হাইটস”। মাঝে মাঝে ভাবি, নামটা কত গ্ল্যামারাস, অথচ সেই নামের নিচেই চাপা পড়ে গেছে আমার ছোটবেলার চটি পায়ে দৌড়ানো বারান্দা, কাঁঠালের গন্ধমাখা দুপুর, আর দিদার হাতে বাঁধা তুলসী মালা। আমাদের বাড়িটা ছিল এক রকম রেওয়াজি—সকালে প্রার্থনা, দুপুরে শব্দ করে পাখার ঘুরন্ত আওয়াজ, আর সন্ধ্যেবেলা harmonium-এর একঘেয়ে সুর। বাবা অফিসফেরতা এককাপ চায়ে দিন শেষ করতেন, আর মা রান্নাঘরের কোণে বসে চুপচাপ মাছ কুটতেন—কখনোই অকারণে হাসতেন না। তবু আমি জানতাম, মা…
-
-
সুকান্ত রাহা লেপচাজগৎ—একটি নাম, যা উচ্চারণ করলেই মন যেন শীতল হিমালয়ী বাতাসে ভরে ওঠে। এই নামের মধ্যেই জড়িয়ে আছে পাইনবনের গাঢ় সবুজ, কুয়াশার মতো মায়া, আর সেই নীরবতা যা কেবল পাহাড় জানে। কলকাতার ক্লান্ত, কংক্রিট-ভেজা দিনগুলো পেরিয়ে, আমি এসেছিলাম এখানে—একটি নির্জন আশ্রয়ের সন্ধানে। সকালটা ছিল জানুয়ারির শেষ ভাগে, শীত এখনো রয়ে গেছে হাড়ে-মজ্জায়। দার্জিলিং থেকে ছোট একটি গাড়িতে চড়ে কুয়াশা ভেদ করে আমি পৌঁছালাম লেপচাজগৎ—দার্জিলিংয়ের কোলঘেঁষা অথচ পর্যটকদের চোখ এড়িয়ে থাকা এক অপার বিস্ময়। এই গ্রাম যেন নিজের সৌন্দর্য আড়াল করে রাখে, কেবল সেইসব মানুষের জন্য, যারা তাকে খুঁজতে জানে। গেস্ট হাউসটির নাম ‘উত্তরধ্বনি’। কাঠের তৈরি এক পুরোনো বাংলো—ছাদে শুকনো…