Bangla - প্রেমের গল্প

চুপকথার চিঠি

Spread the love

ঈশিতা সেনগুপ্ত


জানলার ওপারে

কলকাতার উত্তরের এক পুরনো পাড়ায়, লাল ইটের তিনতলা বাড়িটা বহু দিনের সাক্ষী। উঠোনজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পুরনো ফুলদানি, জং ধরা বাইসাইকেল, আর সবথেকে দৃষ্টিনন্দন—একটা ঘন পাতা কদমগাছ। সেই গাছের নিচে প্রতিদিন সকালে বসে এক ছেলেটা, তার কোলে একটা স্কেচবুক, হাতে পেন্সিল—নিস্তব্ধ ঘোরে ডুবে যায় নিজের আঁকায়। ছেলেটির নাম অয়ন।

অয়নের জীবনের ছন্দ বড়ো একঘেয়ে ছিল। আঁকাআঁকি আর কদমগাছের নিচে বসে থাকা ছাড়া সে খুব একটা কারো সঙ্গে মেশে না। পড়াশোনার দিন পেরিয়ে, সে এখন ঘরে বসেই গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করে। পাড়ায় বহুদিনের বাসিন্দা, তাই কারও চোখে নতুন নয়। তবে হঠাৎ করেই সব বদলে গেল, যেদিন জানালায় সে প্রথম দেখল মেয়েটিকে।

রুহি। সদ্য কলেজে ভর্তি হওয়া, সাহিত্যের ছাত্রী। শহরের অন্য প্রান্ত থেকে এই পাড়ায় এসেছে পরিবারের সঙ্গে। বড় কাঁচের জানালার ধারে বসে থাকে সকালে—চা হাতে, চুল খোলা, আর চোখে এক অদ্ভুত নিরীক্ষণশীলতা। সেই চোখ যেন কিছু খুঁজে বেড়ায়।

সেই জানালা থেকেই একদিন চোখাচোখি হল তাদের।

শুরুটা ছিল নিঃশব্দ। না কোনো কণ্ঠ, না কোনো অঙ্গভঙ্গি—শুধু দু’জোড়া চোখের বাক্যালাপ। রুহি জানালার ধারে দাঁড়িয়ে দেখল, ছেলেটা হঠাৎ চোখ তুলে তাকাল। সেই এক মুহূর্তে ছেলেটার চোখের গভীরতা তাকে চমকে দিল। তারপর থেকে রোজ সকালবেলা যেন একটা অলিখিত প্রতিশ্রুতি—দুজন একই সময়ে একে অপরকে দেখে নেবে।

একদিন সকালে, হালকা কুয়াশা ঢাকা জানালার ওপারে রুহি ধরা দিলো একরাশ হাসি নিয়ে। তার খোলা চুলের ফাঁকে রোদের ঝিলিক পড়েছে। অয়নের চোখ জুড়ে তখন শুধু সেই মুখটাই। সে পাতার উপর টুপটাপ শব্দে আঁকতে লাগল সেই চেহারা—রুহির।

দুপুর গড়িয়ে বিকেল। কদমগাছের ছায়া লম্বা হয়ে উঠছে। হঠাৎ রুহি নামল নিচে। হাতে একটি বই, “ঘরে বাইরে।” এসে দাঁড়াল অয়নের সামনে।

“তুমি কি সবসময় এভাবেই আঁকো?” প্রশ্নটা সহজ ছিল।

অয়ন একটু কুঁচকে তাকাল, যেন প্রস্তুত ছিল না এমন প্রশ্নের জন্য। “হ্যাঁ… মানে… সময় পেলেই,” সে জবাব দিল।

“এই ছবিটা কাকে এঁকেছো?” রুহি খেয়াল করল, ছবিটা তার মতো দেখতে।

অয়ন একটু লজ্জা পেল। বলল, “তুমি। তবে তুমি হয়তো বুঝতে পারবে না ঠিক কিভাবে তোমাকে দেখি আমি।”

রুহির ঠোঁটে এক চিলতে হাসি। “আচ্ছা, তাহলে আমাকে বোঝাতে হবে, বুঝলে?”

সেই দিনটাই ছিল তাদের মুখোমুখি প্রথম আলাপ। তারপর ধীরে ধীরে পরিচয়ের আঁচে ভালো লাগা পাকতে লাগল। তারা চুপ করে থাকত একে অপরের পাশে। কথার দরকার হতো না। শুধু সামান্য চোখের ভাষা, পেন্সিলের টান, কিংবা বইয়ের পাতার শব্দেই যোগাযোগ তৈরি হয়ে যেত।

চুপকথা

পাড়ায় সবাই বলত, “আজকালকার ছেলেমেয়েরা তো কথা না বলেই প্রেমে পড়ে যায়!”

কিন্তু অয়ন আর রুহির সম্পর্কটা ছিল অন্যরকম। তারা ভালোবাসা শব্দটাও ব্যবহার করত না। তাদের প্রেম ছিল যেন কুয়াশার মতো—মৃদু, নিঃশব্দ, কিন্তু সর্বত্র।

অয়ন মাঝে মাঝে রুহির জন্য ছবি আঁকত—তার হাতের আঙুল, তার জানালার পর্দা, এমনকি কদম পাতার ছায়া। সেই ছবিগুলো খামবন্দি করে সে জানালার নিচে রেখে যেত। রুহি চুপচাপ সেগুলো নিয়ে নিজের বইয়ের পাতার মাঝে রাখত।

একদিন রুহি একটি কবিতা লিখল অয়নের জন্য—

“তুমি চুপ থাকো, আমি পড়ে ফেলি
তোমার চোখের পাতায় যে কথা লেখা।
তুমি হাসো না, তবুও বোঝা যায়,
তোমার নিঃশ্বাসে আমি কেমন করে বেঁচে থাকি।”

সে কবিতাটিও রেখে এল অয়নের স্কেচবুকে।

তাদের এই নিঃশব্দ সম্পর্কের একটা আলাদা জগৎ ছিল। শহরের কোলাহলের বাইরে, তারা গড়ে তুলেছিল এক শান্ত আশ্রয়, যেখানে প্রেম হতো না শব্দে, হতো অনুভবে।

একবার অয়ন বলেছিল, “তোমার সঙ্গে কথা না বলেও এত কথা বলা যায়, এটা আগে জানতাম না।”

রুহি বলেছিল, “আমরা দু’জনেই চুপকথার মানুষ। তাই শব্দ আমাদের দরকার হয় না।”

দূরত্বের ডাকঘর

সব কিছু যখন ঠিকঠাক চলছিল, ঠিক তখনই খবরটা এল—অয়নের মুম্বই যেতে হবে। একটা বড় ডিজাইন ফার্মে অফার এসেছে। সে দ্বিধায় পড়ে গেল। যাবেই বা কী করে? রুহির চোখে চেয়ে সে যতবার মুগ্ধ হয়েছে, ততবার নিজেকে আরও বেশি বাঁধা মনে হয়েছে এই শহরের সঙ্গে, এই কদমগাছের ছায়ার সঙ্গে।

রুহি প্রথমে কিছু বলল না। অয়ন নিজেই একদিন বলল, “তুমি জানো, আমি যদি যাইও, আমাদের এই জায়গাটা থাকবে। আমাদের জানালাটা, গাছটা, আর… এই নীরবতা।”

রুহি চুপ করেই থাকল। তার মুখে কোনো অভিমান ছিল না, শুধু একটা অদ্ভুত শান্ত দৃষ্টি। যেন বুঝে ফেলেছে কিছু হারানোর সময় চলে এসেছে।

অয়ন চলে গেল। কদমগাছের নিচে তার খালি চেয়ারটা যেন বিষাদে ভরে রইল।

প্রথম প্রথম রুহি সকালবেলা জানালায় বসে থাকত, অভ্যাসের বশে। চা হাতে, হাতে রবীন্দ্র রচনাবলী। কিন্তু কদিন পর বই খুললেও চোখ পড়ত না পাতায়। বারবার শুধু মনে হতো—এই মুহূর্তে অয়ন কী করছে? ও জানে তো, আমি এখনও বসি জানালায়?

মাঝে মাঝে ফোন আসত। কিন্তু অয়নের স্বরটা আগের মতো আর গভীর শোনাত না। হয়তো সময়, হয়তো দূরত্ব, হয়তো অজানা কোনো ভয়। কথা গড়াত কম, থেমে যেত বারবার।

রুহি একদিন বলল, “তুই আমাকে একটা চিঠি লিখবি?”

অয়ন হেসে বলল, “চিঠি? আজকের দিনে?”

“হ্যাঁ, কারণ মেসেজে শব্দের ওজন থাকে না।”

এরপর থেকে শুরু হল চিঠির আদান-প্রদান। রুহি প্রতি সপ্তাহে একটা করে চিঠি লিখত। লেখার শেষে লিখত, “জানালার নিচে এখনো ছায়া পড়ে দুপুরবেলা। তুমি নেই, কিন্তু আলোটা তোমার মতোই রয়ে গেছে।”

অয়নের চিঠিতে থাকত তার অফিসের গল্প, মুম্বইয়ের ট্রাফিক, ভেজা ফুটপাথ, আর ক্যানভাসে আঁকা একা একা রাতের ছবি। একটা চিঠিতে লিখেছিল—

“রুহি, আমি তোকে এখনো প্রতিদিন আঁকি। পেন্সিলের টানে যখন চুল আঁকি, মনে হয় তুই পাশেই বসে আছিস। মুম্বইয়ের হাওয়ায় তোর গন্ধ পাই। জানি, শব্দে বলা যায় না—তাই তুই তো আমার চুপকথার চিঠি, আজীবনের জন্য।”

ফিরে আসা

দূরত্ব বড় অদ্ভুত জিনিস। কখনো কাছাকাছি নিয়ে আসে, কখনো বহুদূর ফেলে রাখে।

প্রায় ছয় মাস কেটে গেছে।

একদিন রুহির জন্মদিনে সকালে ঘুম ভাঙল দরজার ঘণ্টায়। মা এসে বললেন, “তোর নামে একটা কুরিয়ার এসেছে।”

রুহি অবাক। খাম খুলে দেখল, ভিতরে একটা সুন্দর কাঠের ফ্রেম। তাতে অয়নের আঁকা ছবি—একটি কদমগাছ, তার নিচে দু’জন মানুষের ছায়া, মুখ দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু বোঝা যায়—তারা একসঙ্গে।

ছবির পেছনে লেখা—

“তুই বলেছিলি না, আমি যেন একদিন হঠাৎ ফিরে না আসি? তাই ঠিক করে এসেছি—যেদিন তোকে আবার প্রথম চুম্বন দেব, সেইদিনই শুধু ফিরে আসব। প্রস্তুত তো?”

রুহি হেসে ফেলল। চোখে জল, ঠোঁটে হাসি।

তার পরদিনই হঠাৎ, রুহির জানালার নিচে কদমগাছের ছায়ায় দাঁড়িয়ে অয়ন। চোখে ক্লান্তি, হাতে স্কেচবুক, ঠোঁটে একটা চেনা হাসি।

রুহি কিছু বলল না। শুধু ধীরে ধীরে নেমে এল নিচে। দুজন মুখোমুখি দাঁড়াল। অয়ন বলল, “তুই জানিস, তোকে ছাড়া ক্যানভাস ধূসর হয়ে যায়।”

রুহি বলল, “এতদিন পরে ফিরলি কেন?”

অয়ন মৃদু গলায় বলল, “কারণ জানালার ওপারের আলোটা ডাকছিল আমাকে।”

চিরকথার পথে

তারপর তারা আর কখনো দূরে যায়নি। অয়ন শহরে থেকে গিয়েছে, ফ্রিল্যান্স কাজ নিয়েছে, শুধু রুহির পাশে থাকার জন্য।

তারা রোজ কদমগাছের নিচে বসে। কখনো বই পড়ে, কখনো কিছু না বলেই শুধু একে অপরকে দেখে যায়।

চিঠি লেখা এখনো বন্ধ হয়নি। শুধু খামে ভরে পোস্ট করা হয় না। চিঠিগুলো এখন বলা হয় চোখে, বাতাসে, বিকেলের রোদে।

রুহি বলত, “ভালোবাসা কি জানিস অয়ন? একটা জানালার দুই প্রান্তে দাঁড়িয়ে নীরবতার মধ্যে শব্দ খুঁজে পাওয়া।”

অয়ন বলত, “আর ভালোবাসা মানে—তোর মতো কাউকে বারবার নতুন করে আঁকা, যাতে একটুও ভুল না হয়।”

শেষ লাইনগুলো 

“তারা আজও চুপ থাকে। কিন্তু সেই চুপকথা থেকেই গড়ে ওঠে তাদের চিরকথা। শব্দে নয়, ভালোবাসা থাকে তাদের জানালার ফাঁকে—সেই পুরনো কদমগাছের নিচে…”

চিঠির বাইরে, জীবনের ভিতর

চার বছর কেটে গেছে।

পাড়ার লাল ইটের বাড়িটা এখনো দাঁড়িয়ে আছে আগের মতো, কদমগাছটা আর একটু বড় হয়েছে, তার ছায়া লম্বা হয়েছে উঠোন জুড়ে। সেই ছায়াতেই বসে আছে অয়ন, পেছনে হেলান দিয়ে রুহি। দুজনের সামনে একটা পুরনো কাঠের টেবিল, তাতে রাখা চা, বিস্কুট আর একটি মোটা খাতা—যার নাম ‘চুপকথার খাতা’।

এই খাতায় তারা লিখে চলে একে অপরের প্রতি বলা না-বলা কথা। সপ্তাহে একদিন করে। কোনোদিন রুহি, কোনোদিন অয়ন। এটা এখন তাদের সম্পর্কের একটা অদৃশ্য নিয়ম।

আজ রুহির পালা।

সে লিখল—
“অয়ন, আজকে আমাদের বিয়ের দু’বছর। তুই এখনো সকালে উঠে আঁকিস। তোর চুলগুলো কিছুটা পেকে গেছে, আমি ঠাট্টা করে বলি ‘সাদা পেনসিল’। তুই হেসে ফেলিস। জানিস, এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই তো আসলে জীবনের চিঠি। তুই আমার এখনো সেই জানালার ছেলের মতোই—চুপচাপ, অথচ গলার নিচে কত শব্দ জমা।”

অয়ন খাতাটা পড়ে মুচকি হেসে বলল, “তুই জানিস রুহি, তোর লেখার মধ্যে এখনো সেই ছেলেবেলার নদীর মতো টান আছে।”

পুরনো জানালার কাছে

সন্ধ্যাবেলা রুহি একা দাঁড়িয়ে ছিল জানালার ধারে। বাইরে বৃষ্টি পড়ছিল। হঠাৎ তার মেয়ে—ছোট্ট ছ’বছরের মিহি—জিজ্ঞেস করল, “মা, তুমি জানালার দিকে এতক্ষণ তাকিয়ে কী দেখো?”

রুহি একটু থেমে বলল, “এই জানালা দিয়ে তোমার বাবাকে প্রথম দেখেছিলাম, জানিস?”

মিহি চোখ বড় করে বলল, “বাবা জানালা দিয়ে পড়ে গেছিল নাকি?”

রুহি হেসে ফেলে বলল, “না, বাবা আমার চোখে পড়েছিল!”

মিহি কিছু বোঝে না, কিন্তু মায়ের হাসি দেখে সে-ও হেসে ওঠে।

সেই রাতে রুহি অয়নের পাশে শুয়ে চুপ করে ছিল। তারপর হঠাৎ বলল, “তুই কি কখনো ভেবেছিলি, আমরা এই এতগুলো বছর টিকে যাব?”

অয়ন বলল, “চুপকথারা কখনো হারিয়ে যায় না। ওরা শুধু রূপ বদলায়—চিঠি থেকে গল্প হয়, গল্প থেকে গান, তারপর ঘুমপাড়ানি কথা হয়ে যায়।”

রুহি চোখ বন্ধ করে বলল, “তুই থাকিস পাশে, তাহলেই আমার শব্দ লাগে না।”

শেষ চিঠি

একদিন হঠাৎই অয়ন অসুস্থ হয়ে পড়ল। হাসপাতালের সাদা দেওয়ালে শুয়ে সে চুপ করে থাকে। ডাক্তারেরা নানা পরীক্ষা করছে, কিন্তু রুহি জানে—অয়নের মুখের নিরবতা যেন অনেক বেশি কিছু বলছে।

একদিন সকালে রুহি খেয়াল করল, অয়নের বালিশের নিচে রাখা একটা চিঠি। খোলা হলে দেখা গেল—

“রুহি, যদি কোনোদিন আমি এই জানালা ছেড়ে চলে যাই, তুই জানবি—আমার সমস্ত ছবিগুলো এখনো তোকে আঁকছে। তুই তোর খাতায় লিখে যাবি, আর আমি তোর প্রতিটা চুপকথা পড়ে যাব অন্য কোথাও বসে।

তুই আমার জানালার আলো, আমার রঙ, আমার শব্দহীন কবিতা। যদি তুই কখনো কান পেতে শোনিস বাতাসে আঁচড় কাটছে কারো পেনসিল—জানবি, সেটা আমি।

ভালোবাসা শব্দে নয়, ভালোবাসা চুপকথায়—চিরকাল।

– অয়ন”

গল্পটা থেকে গেছে

অয়ন নেই।

কিন্তু রুহি এখনো জানালার ধারে চা নিয়ে দাঁড়ায়। মিহি বড় হয়েছে, বাবার আঁকা ছবি দেয়ালে টাঙানো, তারও হাতে স্কেচপেনসিল।

রুহি আজও চিঠি লেখে। কিন্তু খামের বদলে, লেখে এক খাতায়, যেটার প্রথম পাতায় বড় করে লেখা—

“চুপকথার চিঠি”

আর ঠিক জানালার নিচে, কদমগাছটা এখন আরো বড় হয়েছে।

পাশে ছোট্ট বেঞ্চে বসে মিহি বলল, “মা, জানো? আমি আজ একটা নতুন ছবি এঁকেছি। একজন ছেলে, আর একটা মেয়ে—তারা চুপ করে বসে আছে, কিন্তু ওদের চোখে চোখ রেখে বোঝা যাচ্ছে, ওরা অনেক কিছু বলছে।”

রুহির চোখে জল আসে না, আসে শুধু একরাশ আলো।

সে বলে, “তুই বুঝতে পেরেছিস মা, ভালোবাসা কখনো শব্দে নয়, ভালোবাসা বোঝা যায় চোখে—জানালার ওপারে, কিংবা জানালার ভিতরেও।”

শেষ পংক্তি:

“চুপকথারা চিঠি হয়ে আসে না ডাকঘরে, তারা থেকে যায় চোখের পাতায়, বাতাসে, আর একটুকরো জানালার গল্পে—যেখানে ভালোবাসা শব্দ নয়, নিঃশব্দতাই ভাষা।”

 

WhatsApp-Image-2025-06-06-at-6.46.03-PM.jpeg

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *