Bangla - হাস্যকৌতুক

গিন্নি যখন গোয়েন্দা

Spread the love

সায়ন দে


পর্ব ১: চায়ের কাপ ও চোরের গল্প

সকাল ঠিক আটটা। মালবিকা দেবী বারান্দায় বসে চায়ের কাপ হাতে নিয়ে পাড়ার খবর পড়ছেন। অবশ্য এই খবর পত্রিকায় নয়, তা তৈরি হয় তাঁর মনেই—কে আজ সকালবেলা কার দরজায় কড়া নাড়ল, কে ছাদে গিয়ে কিসের জন্য চিৎকার করল, আর কে কার সঙ্গে বাজারে গেল। তিনি ছিলেন একজনা সজাগ নাগরিক, এবং অতি সজাগ গিন্নি।

হঠাৎ চায়ের কাপ নামিয়ে তিনি চিৎকার করলেন, “অশোক! ঘরের ফ্রিজ থেকে আমার সন্দেশগুলো কে চুরি করল?”

অশোকবাবু, তাঁর শান্ত স্বামী, যিনি সদ্য অবসর নিয়েছেন পোস্ট অফিস থেকে, ভেতর থেকে গলা তুলে বললেন, “চুরি? বাড়িতে চোর কোথা থেকে আসবে? আর মিষ্টি তো কাল কিনে এনেছিলে, আজকেই চুরি হয়ে গেল?”

“হ্যাঁ! আজ ভোরে উঠে দেখি তিনটে সন্দেশ নেই! স্পষ্টতই কেউ নিয়েছে। আর সেই কেউ আমার অতি সন্দেহজনক চেনা।”

অশোকবাবু বললেন, “তুমি কি বলতে চাইছো আমি খেয়েছি?”

মালবিকা দেবী চোখ সরু করে তাকালেন, “তুমি না বলো ডায়াবেটিস? মাঝরাতে কিচেনে গিয়ে টিপ টিপ করে ফ্রিজ খুলেছিলে না?”

অশোকবাবু একটু অস্বস্তিতে বললেন, “ওটা তো… জল খেতে গেছিলাম…”

মালবিকা বলেন, “হুঁ! জল খেতে গেলে সন্দেশ কমে যায়?”

এই ঘটনার পরেই গিন্নির মনে জাগে এক সন্দেহ—তাঁর মিষ্টির শত্রু বাড়ির ভেতরেই লুকিয়ে আছে। শুরু হয় তাঁর গোয়েন্দাগিরির প্রথম ধাপ—একটা নোটবুক, যাতে তিনি লিখে ফেলেন ‘সন্দেহভাজন তালিকা’। তাতে প্রথমেই অশোক, দ্বিতীয় জামাইবাবু, তৃতীয় পাড়ার পিন্টু, আর চতুর্থ রানু, তাঁদের কাজের মেয়ে।

তিনি ভাবলেন, “এবার থেকে নজরদারি বাড়াতে হবে। আর এই রহস্যের

সমাধান আমি নিজেই করব।”

পর্ব ২: তদন্ত শুরু

মালবিকা দেবী ঠিক করলেন, এই ঘটনার সঠিক তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনও রকমের সন্দেশ ফ্রিজে রাখা হবে না—তা রাখা হবে এক বিশেষ পাত্রে, যার গায়ে লেখা থাকবে, “চোর ধরা পড়বেই।”

তিনি তার নোটবুক খুলে তাতে চারজন সন্দেহভাজনের নাম লিখলেন—

১. অশোক: রাতে ঘুমোতে যাওয়ার সময় মুখে ব্রাশ, কিন্তু পা ফ্রিজমুখী।

২. জামাইবাবু: যিনি এসেই বলেন, “মিষ্টি খাব না”, আর তারপর টিভি দেখার ছলে একটার পর একটা সন্দেশ গায়েব করে দেন।

৩. পাড়ার পিন্টু: এই টিউশনি পড়তে আসা ছেলেটা খু-উ-ব চালাক! মাঝেমধ্যে সোজা রান্নাঘরে ঢুকে বলে, “জল খাব”, তারপর নিজের বোতলেও কিছু ভরে নিয়ে যায়।

৪. রানু: কাজের মেয়ে, যদিও নিরীহ মনে হয়, কিন্তু আজকাল ফোনে গল্প করতে করতে বাসন মাজে—এটা সন্দেহজনক।

এইবার তিনি রানুকে জেরা করতে শুরু করলেন।

“এই রানু, বল তো, ফ্রিজের কাছে আজ সকালে গেছিলি?”

রানু ভয়ে বলল, “না গো বউদি, আমি তো ডাল দেখে যাচ্ছিলাম…”

“ডাল ফ্রিজে কেন রাখবি?”

রানু থতমত খেয়ে বলল, “মানে… কাল রাতে হয়তো… হুঁ হুঁ, আমি জানি না গো…”

এইবার গিন্নির চোখে সন্দেহ আরও ঘনিয়ে এল।

অশোকবাবু তখন চুপচাপ কাগজ পড়ছেন। কিন্তু গিন্নি জানেন, চুপচাপ থাকা মানেই নির্দোষ নয়।

পরের পরিকল্পনা হল—একটা ফাঁদ পাততে হবে।

তিনি নিজের হাতে সন্দেশ বানালেন। খাস কলকাতার নবীন ময়রার মতন গন্ধ! সেগুলো সাজিয়ে রাখলেন ফ্রিজে। সঙ্গে একটা সাদা কাগজ লিখে রাখলেন:

“এই সন্দেশে ক্যামেরা বসানো হয়েছে। খাওয়ার চেষ্টা করলে মুখে আলতা লেগে যাবে।”

রাতে শুয়ে পড়ার ভান করে গিন্নি বিছানায় পড়লেন, কিন্তু তাঁর চোখ ছিল একেবারে খোলা। চারদিক নিঃশব্দ। কেবল ঘড়ির টিক টিক আর মাঝে মাঝে অশোকবাবুর নিঃশ্বাস।

রাত দুটোয় তিনি শুনলেন—ধীরে ধীরে চপ চপ পায়ের শব্দ… ফ্রিজ খুলছে কেউ। গিন্নি আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ালেন। তারপর সঙ্গে সঙ্গে আলো জ্বালালেন।

“চোর ধরা পড়েছে!” বলে চেঁচিয়ে উঠলেন তিনি।

আলো জ্বলে উঠতেই দেখা গেল—অশোকবাবু, মুখে টুথব্রাশ, হাতে সন্দেশ, আর মুখে  ধরা পড়ে যাওয়ার পরির মতো চেহারা।

পর্ব ৩: জবানবন্দি ও বিচারসভা

আলো জ্বলার সঙ্গে সঙ্গেই অশোকবাবু চমকে গেলেন। হাতের সন্দেশ পড়ে গেল নিচে। মুখে ঝুলছে টুথব্রাশ, চোখে আতঙ্ক আর মুখে কিছু বলার ভাষা নেই।

মালবিকা দেবী হাত জোড় করে বললেন, “আচ্ছা, বলো, কবে থেকে এই অপকর্ম করছ?”

অশোকবাবু কেমন যেন লজ্জিত হাসি দিয়ে বললেন, “আমি তো ভেবেছিলাম তুমি ঘুমিয়ে পড়েছো। আসলে রাতে একটু খিদে পেয়েছিল…”

“তাই বলে তিনদিন ধরে মিষ্টি চুরি? আমি তো ভেবেছিলাম রানু বা পিন্টু করেছে! আর তুমি? তুমি তো ডায়াবেটিক!”

“আরে! ওইটা তো শুধু তোমার সামনে বলি! আসলে ওইটুকু মিষ্টি খেলে কিছু হয় না। তুমি যেভাবে রোজ খাবার বানাও, তাতে কিছু না খেলে আত্মা শুকিয়ে যায়!”

গিন্নি হঠাৎ এক মুহূর্তের জন্য থমকে গেলেন। কিন্তু নিজেকে সামলে বললেন, “তাহলে এবার বিচারসভা বসবে। আমি একা তো তোমাকে শাস্তি দিতে পারি না। পাড়ার মহিলাদের ডাকতে হবে।”

পরদিন সকালবেলায় বারান্দায় একটা সভা বসল।

পাশের বাড়ির মিতালীদি, কল্যাণী, আর জয়ন্তীর মতো মহিলারা এসে গম্ভীর মুখে বসলেন।

গিন্নি বললেন, “আপনারা নিশ্চয় শুনেছেন, গত তিনদিন ধরে আমার সন্দেশ চুরি হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম কাজের মেয়ে রানু করেছে। কিন্তু কাল রাতে চোর ধরা পড়েছে—আমার স্বামী নিজেই। এই অবস্থায় আপনাদের কাছে বিচার চাই।”

মিতালীদি বললেন, “এটা বড় অন্যায় হয়েছে। আমরা এইরকম বিশ্বাসঘাতকতা স্বীকার করতে পারি না।”

কল্যাণী বললেন, “এবার ওকে কিছু শাস্তি দাও বউদি। বাজার করতে পাঠাও একা!”

অশোকবাবু মৃদু গলায় বললেন, “আমাকে এক মাস বাজার পাঠাও, তাও সন্দেশ খেতে দিও!”

সবার মুখে হাসি ফোটে। গিন্নি গম্ভীর গলায় বলেন, “ঠিক আছে, রায় ঘোষণা করছি—এই মাসের বাজার স্বামী করবেন। প্রতিদিন ব্যাগ বহন করতে হবে। আর, এক সপ্তাহ মিষ্টি খাওয়া নিষেধ।”

অশোকবাবু বললেন, “তোমার হাতে সব বিচারই ন্যায্য।”

গিন্নি একটু হাসলেন। কিন্তু তিনি জা

নেন—এ কেবল যুদ্ধের সূচনা।

পর্ব ৪: রহস্য আরও ঘনীভূত

শাস্তির ঘোষণা অনুযায়ী, অশোকবাবু রোজ সকালে বাজার যাচ্ছেন—হাতে বিশাল থলে, কাঁধে দায়িত্বের ভার। পাড়ার লোকজন হাসতে হাসতে বলে, “কী গো অশোকদা, গিন্নির হাতে ধরা পড়েছেন বুঝি?”

তবে শান্তির দিন বেশি দিন থাকে না। ঠিক পাঁচ দিন পরেই আবার ঘটল এক অদ্ভুত ঘটনা।

সেদিন দুপুরে মালবিকা দেবী রান্না করে ফ্রিজ খুলতে গেলেন, মিষ্টির কৌটোতে দেখলেন—দু’টো সন্দেশ নেই! অথচ অশোকবাবু তখন ছিলেন ব্যাংকে। রানু ছুটিতে, পিন্টু পড়তে আসেনি।

গিন্নির মনে উঠল নতুন প্রশ্ন—তবে কি আরও কেউ জড়িত?

তিনি এবার অত্যন্ত সতর্ক হলেন। রাতে ফ্রিজের সামনে একটা ছোট মোবাইল রেখে দিলেন ভিডিও রেকর্ডিং চালু করে। পরদিন সকালে ভিডিও দেখে হতবাক!

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে—একটা ছোট্ট হাত ফ্রিজ খুলছে, তারপর টিপ toe-তে দাঁড়িয়ে মিষ্টির কৌটো খুলছে। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, সেটি আর কেউ নয়, পাশের বাড়ির ছোট্ট পিউ!

পিউ, পাড়ার দস্যি বাচ্চা, যে প্রতিদিন বিকেলে মালবিকা দেবীর কাছে এসে বলে, “বউদি, তোমার বাসায় টিভিতে কার্টুন দেখব?”

গিন্নি একটুও রাগ করলেন না। বরং ভাবলেন—এই বাচ্চা মেয়েটা এত চালাক কী করে হলো?

তবে শাস্তি তো তাকে দিতেই হবে। তাই পিউকে ডেকে বললেন, “তুই আমার ফ্রিজে ঢুকেছিস কেন রে মা?”

পিউ কাঁদতে কাঁদতে বলল, “আমি… আমি মিষ্টি খাইনি গো! আমি শুধু বরফ খেতে গেছিলাম… গরম খুব ছিল তো!”

মালবিকা বললেন, “আর সেই বরফের পাশে বসে থাকা সন্দেশ নিজের পায়ে তোমার মুখে ঢুকে গেল বুঝি?”

পিউ এবার সত্যি সত্যি ফুপিয়ে কাঁদতে লাগল।

ঠিক তখনই প্রবেশ করলেন নতুন চোর—জামাইবাবু। হাতে কাঁচা মিঠা, মুখে অদ্ভুত হাসি।

“কি ব্যাপার, বউদি? আবার মিষ্টি চুরি?”

মালবিকা এক চোখে তাকালেন। মনে মনে ভাবলেন, “এই লোকটাই তো গতবার তিনটে রসগোল্লা খেয়ে বলেছিল ডায়েট করছি!”

গিন্নির গোয়েন্দাগিরি এবার নতুন দিকে মোড় নেবে, কারণ চোরেরা কেবল অশোক বা পিউ নয়—এই বাড়ির প্রতিটি ঘরেই ছড়িয়ে আছে ‘মিষ্টির গুপ্তচর’।

পর্ব ৫: মিষ্টি কেলেঙ্কারি সংঘের জন্ম

গিন্নি এবার বুঝলেন—এই চুরি আর ব্যক্তিগত নয়, এটা একটা সংগঠিত অপরাধ! এ যেন এক চোরচক্র—সন্দেশ চক্র! অশোক, পিউ, জামাইবাবু—তিনজনেই কোনো না কোনোভাবে জড়িত। গিন্নি ভাবলেন, সময় এসেছে এক নতুন সংগঠনের জন্ম দেওয়ার—”মিষ্টি কেলেঙ্কারি বিরোধী সংঘ”।

সকাল বেলায় বারান্দার সভা বসল। চা, বিস্কুট আর তদন্তের দলিল নিয়ে।

মালবিকা দেবী বললেন, “এই বাড়িতে বহুদিন ধরে মিষ্টির ওপর ষড়যন্ত্র চলছে। তাই আমি ঘোষণা করছি—ঘরের ফ্রিজ এখন থেকে সিকিউরিটি জোন। সেখানে ঢোকার জন্য লাগবে পারমিশন স্লিপ!”

অশোকবাবু বললেন, “এতটা কঠোরতা কি ঠিক? আমি তো এখন শুধুই কুমড়ো-লাউ কিনে বাড়ি ফিরি!”

মালবিকা বললেন, “তা হলে সন্দেশ কেন ফুরোয়?”

জামাইবাবু বললেন, “আসলে গতবার পিউ আমায় বলল খুব খিদে পেয়েছে। আমি ভাবলাম একটা সন্দেশ খাওয়াই…”

মালবিকা দেবী চোখ সরু করে বললেন, “তোমার মুখেই তো লেবুর পাতার গন্ধ নেই! নিজেই খেলেই বলো না!”

তখনই পাড়ার মিতালীদি বললেন, “তাহলে এই দুঃসময়ে আমাদের উচিত একটা proper সংগঠন গড়ে তোলা। যেমন: ‘মিষ্টি সংরক্ষণ পরিষদ’। সদস্য থাকবে পাঁচজন—গিন্নি সভাপতি, আমি সচিব, আর বাকিরা ‘সন্দেহভাজন’।”

গিন্নি বললেন, “সহমত। এবং এখন থেকে প্রতিদিন মিষ্টির হিসাব রাখা হবে বোর্ডে। যেমন—আজকের বরাদ্দ:

অশোক: ১

জামাইবাবু: ০.৫

পিউ: ১ (শুধু বরফ সহ)

রানু: ০.৫

আমি: ৩”

অশোকবাবু ফিসফিস করে বললেন, “এভাবে ভাগ করে দিলে তো আর আনন্দ করে খাওয়া যাবে না!”

গিন্নি বললেন, “জানতামই তুমি একদিন আন্দোলনে নামবে!”

সবাই হেসে উঠল।

সন্ধ্যেবেলায় ফ্রিজের দরজায় নতুন কাগজ সাঁটা হল—

“এই ফ্রিজ গিন্নি গোয়েন্দার পর্যবেক্ষণে। সাবধান!”

পর্ব ৬: গিন্নি বনাম গ্যাং অফ গোলাপজল

নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পর কিছুদিন ফ্রিজ ছিল শান্ত। বোর্ডে মিষ্টির বরাদ্দ লেখা হতো, অশোকবাবু চুপচাপ নিজের ১টা সন্দেশ খেতেন, পিউ বরফ চুষত, আর জামাইবাবু আসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।

গিন্নি ভাবলেন, “এইবার বুঝি শান্তি ফিরেছে।”

কিন্তু চোরেরা তো সহজে হারে না!

এক রাতে আবার ফ্রিজে হাত পড়ল। এবার বোর্ডে ছিল—“আজকের মিষ্টি: রসগোল্লা – ৫”

সকালে গিন্নি উঠে দেখেন, বাকি আছে মাত্র ২টা!

এবার আর ভিডিও বা কড়া জেরা নয়—তিনি নিলেন এক অভিনব কৌশল।

রাতে মিষ্টির ভেতরেই মেশালেন গোলাপজল… একটু বেশি মাত্রায়। মুখে পড়লেই বোঝা যাবে কে খেয়েছে।

পরদিন সকালে পিন্টু, পাড়ার টিউশন পড়ুয়া, এসে বলল, “বউদি… একটু জল… জিভে যেন আগুন লাগছে!”

গিন্নি বললেন, “তোর টিফিনে কেমন লেগেছে আজ?”

পিন্টু বলল, “ভালই ছিল… মানে… একটু মিষ্টি খেয়েছিলাম… পিউ দি দিল…”

গিন্নি বললেন, “ওই পিউ দি–ই তো তোর চোর পার্টনার! এখন দু’জনের নাম ঢুকবে মিষ্টি কেলেঙ্কারি চক্রে!”

অশোকবাবু পাশ থেকে বললেন, “গিন্নি, তুমি না একদিন গোয়েন্দা হতে চেয়েছিলে? এখন দেখছি, সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে গেছো!”

মালবিকা গম্ভীর মুখে বললেন, “না গো, এখনো শেষ নয়। আজ থেকে ‘গ্যাং অফ গোলাপজল’কে রুখতেই হবে।”

সেই দিন সন্ধ্যায় এক মহতী ঘোষণা হয়—ফ্রিজে এখন থেকে লাগবে পাসওয়ার্ড।

পাসওয়ার্ড জানবে কেবল গিন্নি। কেউ চুরি করলে বোর্ডে লিখে দেওয়া হবে—“চোর আজও ধরা পড়ল না। কিন্তু গিন্নি দেখেছে।”

সবাই ঘাবরে যায়।

পিউ আর পিন্টু বলে, “আমরা আর খাব না। সত্যি। শুধু একটুখানি বরফ দিলেই হবে।”

অশোকবাবু বলেন, “আমি তো আগে থেকেই বিন্দুমাত্র চিনি খাই না… তুমি জানো না?”

গিন্নি হেসে ফেলেন।

সেই রাতে বারান্দায় বসে চা খেতে খেতে তিনি ভাবেন—এই বাড়িতে শান্তি আর চিনি দুই-ই এখন নিয়ন্ত্রণে।

আর এভাবেই, গিন্নি গোয়েন্দা হয়ে উঠলেন

পাড়ার এক কিংবদন্তি।

শেষ

Lipighor_1749663565116.png

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *