সুব্রত বসাক
পর্ব ১: চায়ের দোকানে চাঞ্চল্য
গাঁয়ের নাম গোরুর হাট। ম্যাপে নেই, তবে পাড়ার চা-তেলের দোকান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত অফিস পর্যন্ত সবাই জানে, এখানে সমস্যা মানেই “গণেশ দা-র তদন্ত”!
গণেশ দা হলেন পাড়ার অঘোষিত গোয়েন্দা—মাথায় হালকা টাক, হাতে চা, আর পকেটে সবসময় কলম আর ছেঁড়া খাতা। চশমা কাঁধে ঝুলিয়ে যখন হাঁটেন, তখন মনে হয় পাড়ার সব রাজ্যগুপ্ত খবর উনারই কানে।
ঘটনা শুরু হয় এক সকালে, বাজারের মোড়ে হাকিম দা-র চায়ের দোকানে। হাকিম দা বলল,
— “রঘুর দোকান থেকে সোনালি ইলিশ চুরি গেছে রে!”
— “সোনালি ইলিশ?” – পাশে বসে থাকা মধু বলল।
— “হ্যাঁ রে! ওইটা প্ল্যাস্টিকে মোড়ানো, পুরোটাই গোল্ড পেইন্ট করা মাছ। ওটা ভোগের সাজের জন্য আনা হয়েছিল। একেবারে দারুণ দেখাচ্ছিল!”
গণেশ দা তখন চায়ে চুমুক দিচ্ছিলেন। চোখ বন্ধ করে একটু ভাবলেন, তারপর বললেন,
— “ভালো করে বলো তো হাকিম, মাছটা কোথায় ছিল?”
— “রঘু রাখছিল দোকানের সামনের তাকের ওপর। সন্ধ্যায় হঠাৎ দেখি উধাও!”
— “কেউ দেখে নি?”
— “লোক ছিল, কিন্তু কেউ কিছু খেয়াল করেনি।”
গণেশ দা চা রেখে খাতায় বড় করে লিখলেন:
মামলা নম্বর ০০১: সোনালি ইলিশ চুরি।
মধু জিজ্ঞেস করল,
— “গণেশ দা, এটাও কি গোয়েন্দাগিরির মতো কিছু?”
— “অবশ্যই! এটা কোনো সাধারণ চুরি নয়, এটা সম্মানের বিষয়! গাঁয়ের মধ্যে প্ল্যাস্টিক ইলিশ—তা-ও আবার সোনালি! ওটা একপ্রকার ‘আইকন’। এখন সেটার চুরি মানে গাঁয়ের মাথা নত!”
এই সময়ে রঘু ছুটে এল।
— “গণেশ দা! আপনি তো গোয়েন্দা! আপনি না দেখলে এই চুরি কবে উদ্ধার হবে?”
গণেশ দা বললেন,
— “চিন্তা করিস না রঘু, আমি লাগলাম। এই মামলা আমি নিজের হাতে নিলাম!”
হাকিম দা ফিসফিস করে বলল,
— “আগে পাকা পেয়ারা চুরির তদন্ত করতে গিয়ে তিন দিন নিজের টিনের ট্রাঙ্ক খুঁজছিল, এবার না পুরো গাঁ হাফায়!”
গণেশ দা চোখ ছোট করে বললেন,
— “তোর ট্রাঙ্কেও তো লাস্টবার চানাচুর লুকানো ছিল, ভুলে গেছিলি, তাই বলিস!”
চায়ের দোকানে সবাই হো হো করে হেসে উঠল।
গণেশ দা চশমা চোখে তুলে বললেন,
— “আজ থেকেই তদন্ত শুরু। এই মামলার নাম দিলাম – ‘ফিশিং ফর দ্য থিফ’!”
চা-ভাত-সন্দেহ-গল্প — সব মিলে গোরুর হাট আবার গরম।
পর্ব ২: সন্দেহভাজনদের তালিকা
গণেশ দা-র তদন্ত শুরু মানেই গাঁয়ে উৎসব। চায়ের দোকানের সামনে একটা পুরনো বেঞ্চি বয়ে এনে বসানো হল। তাতে গণেশ দা পকেট থেকে ছেঁড়া খাতা বার করে বললেন,
— “প্রথমেই চাই সন্দেহভাজনদের তালিকা। চোর তো ভূত নয়, নিশ্চয়ই কারও না কারও হাত এতে জড়িত।”
মধু বলল,
— “দাদা, সন্দেহ তো রঘুর দোকানে কাজ করা ভোলার উপর পড়ে। আগের বার পাকা কলা গায়েব হতেই ওর ব্যাগে পাওয়া গেছিল!”
গণেশ দা লিখলেন: ১. ভোলা – প্রাক্তন কলাচোর।
এরপর গণেশ দা জিজ্ঞেস করলেন,
— “কে কে কাল সন্ধ্যায় বাজারে ছিল?”
হাকিম দা বললেন,
— “আমি, পান্না রানি, চুনি খাটাল, আর পঞ্চানন কাকু।”
গণেশ দা চশমা নামিয়ে একদৃষ্টিতে তাকালেন,
— “পান্না রানি? যিনি প্রতিদিন ‘ক্রাইম পেট্রোল’ দেখে? সন্দেহজনক!”
মধু ফিসফিস করে বলল,
— “ওনার পোষা বিড়ালকেও উনি ‘ডিটেকটিভ সোনিয়া’ ডাকেন!”
গণেশ দা লিখলেন: ২. পান্না রানি – সিরিয়ালপ্রেমী সম্ভাব্য অপরাধী।
পরের নাম চুনি খাটাল। সে একবার গাঁয়ের সাইকেল স্ট্যান্ড থেকে নিজেই নিজের সাইকেল চুরি করে, পরে নাটক করে ফিরিয়ে এনেছিল—তদন্ত শেখার নামে।
গণেশ দা লিখলেন: ৩. চুনি – আগেও নাটক করেছে, সন্দেহপ্রবণ।
সবাই চুপ করে, হঠাৎ পঞ্চানন কাকু বলে উঠলেন,
— “এইসব গাঁয়ে আধুনিক সাজসজ্জা আনলে চুরি হবেই। ওই সোনালি রঙ দেখে যে কেউ লোভে পড়ে যাবে!”
গণেশ দা চট করে বললেন,
— “অর্থাৎ আপনি আগেই জানতেন এটা চুরি হবে?”
পঞ্চানন কাকু গুঞ্জন গুঞ্জন করে বললেন,
— “না না, আমি শুধু অনুমান করছিলাম…”
গণেশ দা লিখলেন: ৪. পঞ্চানন – ভবিষ্যৎবক্তা টাইপ, অতিরিক্ত সচেতন।
ঠিক তখনই রঘু এসে বলল,
— “আপনাদের একটা জিনিস দেখাতে চাই।”
সে একখানা সোনালি রঙ লাগা ছেঁড়া জুতো তুলে ধরল।
— “আমার দোকানের পেছনে ছিল ওটা। কাল সন্ধ্যায় হয়তো চোরের পড়ে গেছে!”
গণেশ দা চোখ বড় বড় করে বললেন,
— “চোরের জুতো! ব্যস, এবার ধরতেই হবে!”
চুনি খাটাল বলল,
— “এই জুতোর রঙ আর ইলিশের রঙ একদম মিলে যায়। মানে চোর ও ইলিশ একসাথেই ছিল!”
হাকিম দা বলল,
— “তবে কী চোর ইলিশকে কাঁধে নিয়ে পালিয়েছে?”
গণেশ দা বললেন,
— “অবশ্যই না! চোর ইলিশটাকে নিয়ে ছবি তুলেছে। তারপর কোথাও লুকিয়ে রেখেছে। এখন দরকার শুধু একটুখানি তথ্য—কেউ ছবি তুলেছে কিনা!”
সবাই তাকিয়ে রইল। গণেশ দা কাঁধে কলম ঠেকিয়ে বললেন,
— “এখন চাই একখানা গোয়েন্দা দল!”
পর্ব ৩: গোয়েন্দা দল ও মোজার রহস্য
গণেশ দা এবার দল গঠন করলেন।
তিনি নিজেই চিফ গোয়েন্দা। সঙ্গে তিনজন সহকারী নিয়োগ করা হল:
১. চুনি খাটাল – কারণ সে আগেই একবার নাটক করে চোর ধরা “অভিনয়” করেছিল।
২. মধু ঘোষ – চায়ের দোকানের বিশাল কান, পাড়ার খবর তার কানে আগে পৌঁছয়।
৩. ভোলা – সন্দেহভাজনদের তালিকায় থাকলেও গণেশ দা বললেন,
— “সন্দেহভাজনদের কাছেই থাকলে চোর ধরতে সুবিধে হয়!”
চুনি বলল,
— “তাহলে তো পঞ্চানন কাকুকেও রাখা যেত!”
গণেশ দা বললেন,
— “না, উনি স্লো মোশন-এ হাঁটেন। চোর পালিয়ে গেলেও উনি বলবেন ‘আমি তো ভাবছিলাম ও কোথাও যাচ্ছে!’”
তদন্ত শুরু হল সোনালি রঙ লাগা জুতোর দিক থেকে।
ভোলা বলল,
— “এই জুতোতে গন্ধ আছে।”
মধু বলল,
— “ইলিশের না প্লাস্টিকের?”
ভোলা ঘাড় চুলকে বলল,
— “আমার সন্দেহ—এইটা পঞ্চানন কাকুর ছোট নাতির।”
চুনি বলল,
— “একটা কথা বলো তো, কেউ কি সেই দিন ছবি তুলেছিল?”
হাকিম দা বলল,
— “আরে হ্যাঁ! ভোলার মোবাইল হাতে দেখেছিলাম!”
সবাই তাকিয়ে ভোলার দিকে।
ভোলা কাঁচুমাচু মুখে বলল,
— “আমি তো শুধু একটা ছবি তুলেছিলাম। মাছটা দেখতে বেশ লাগছিল তো!”
গণেশ দা বললেন,
— “তা হলে সেই ছবিটা কোথায়?”
ভোলা পকেট থেকে ফোন বের করে ছবি দেখাতে গেল, কিন্তু স্ক্রিনে লেখা এল:
“মেমোরি ফুল – নতুন ছবি সংরক্ষণ করা যায়নি।”
মধু বলল,
— “মানে ছবিটাও নেই, মাছটাও নেই, শুধু স্মৃতি আছে!”
চুনি বলল,
— “তাই তো বলি, মোবাইল স্মার্ট, কিন্তু ইউজার তো আর গোয়েন্দা না!”
গণেশ দা টেবিল চাপড়ে বললেন,
— “ঠিক আছে। এবার আমরা শুরু করব মোজা তদন্ত।”
চুনি হাঁ করে বলল,
— “মোজা আবার কোথা থেকে এল?”
গণেশ দা গম্ভীর গলায় বললেন,
— “যে জুতো পড়ে চোর এসেছিল, তার নিচে একটা অদ্ভুত মোজা ছিল। সেটা অর্ধেক ভিজে, অর্ধেক শুকনো। মানে চোর কোনখানে গিয়েছিল, তার হদিস মোজা দিতে পারে!”
মধু অবাক,
— “দাদা, আপনি তো পুরো সি.আই.ডি-র মতো কাজ করছেন!”
গণেশ দা বললেন,
— “সি.আই.ডি নয়, আমি জি.আই.ডি — গাঁ-ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট!”
সবাই হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়ল।
কিন্তু গণেশ দা-র চোখে এখন নতুন চকমক, কারণ তিনি ঠিক করেছেন:
“এই তদন্তে মোজাই হবে আমার ম্যাপ!”
পর্ব ৪: মোজার ম্যাপ ও মাটির চিহ্ন
গণেশ দা মোজা হাতে নিয়ে একেবারে গন্ধ শুঁকে বললেন,
— “এই মোজায় আছে জায়গার চিহ্ন… যেমন, ডানদিকটা কিছুটা ভেজা, আর বামদিকে পিচকির দাগ। এই মানে দাঁড়ায়, চোর সম্ভবত ভেজা মাটিতে দাঁড়িয়েছিল!”
চুনি বলল,
— “মানে, গাঁয়ের পুকুরপাড় বা বাজারের পাশে ড্রেনের ধারে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল?”
গণেশ দা বললেন,
— “ঠিক তাই। আমরা এখন গাঁয়ের চারপাশে সেই ভেজা পায়ের ছাপ খুঁজে বের করব!”
তদন্ত শুরু হল বাজারের পাশের বাঁশবনের দিকে। ভোলা হঠাৎ একখানা ভেজা জায়গা দেখে বলল,
— “গণেশ দা, এখানে একটা পায়ের ছাপ দেখা যাচ্ছে! সেটা আবার খালি পায়ের মতো।”
মধু বলল,
— “মানে চোর পালাতে গিয়ে জুতো খুলে ফেলেছে?”
চুনি বলল,
— “নাকি… মাছের ওজন এত বেশি ছিল, জুতো খুলে ফেলে দৌড়েছে!”
তারা একসাথে বাঁশবনের পেছনের দিকটা ঘুরে দেখতে লাগল। হঠাৎ গণেশ দা একটা পুরনো, কাদামাখা থলে দেখলেন। খুলে দেখতেই সবাই হাঁ!
থলের মধ্যে কী নেই! একটা পুরনো গামছা, আধখাওয়া নিমকি, আর একটা ইলিশের লেজ—হ্যাঁ, প্লাস্টিকের, সোনালি রঙ ছুটে গেছে কিছুটা।
চুনি হাঁ করে বলল,
— “এই তো, ইলিশের বাকি অংশ কোথায়?”
ভোলা বলল,
— “হয়তো কেউ গা ধুতে গিয়ে ইলিশ নিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু গামছা দিয়ে মুড়ে রেখে গেছে।”
গণেশ দা গম্ভীর হয়ে বললেন,
— “গামছা কার হতে পারে?”
মধু বলল,
— “এই স্টাইলে গামছা তো শুধু পঞ্চানন কাকুই ব্যবহার করেন।”
চুনি বলে উঠল,
— “তবে কি কাকুই… চোর?”
গণেশ দা চশমা খুলে বললেন,
— “এইবার তার মুখোমুখি হতে হবে। সময় হয়েছে জেরা করার।”
ঠিক তখনই পেছন থেকে আওয়াজ এল,
— “তোমরা আবার কী গোলমাল করছ হে?”
পঞ্চানন কাকু এলেন ধীর পায়ে, হাতে একটি নতুন ঝাঁপি। তিনি গম্ভীর গলায় বললেন,
— “তোমাদের কিছু দেখানোর আছে।”
সবাই চুপ করে তাকিয়ে। পঞ্চানন কাকু গামছাটা দেখে বললেন,
— “এটা তো আমার নয়, ওটা রঘুর নতুন ছেলে পিন্টুর। ও মজা করতে গিয়ে ওই ইলিশ লুকিয়ে রেখেছিল!”
গণেশ দা হতবাক!
— “পিন্টু চোর? ও তো ক্লাস ফোর-এ পড়ে!”
পঞ্চানন কাকু হাসলেন,
— “চোর না, মজা করছিল। বলছিল, ওর বন্ধুরা নাকি বলেছে ইলিশ নকল, তাই প্রমাণ করতে ইলিশের লেজ ফেলে রেখে গেছে!”
গণেশ দা মাথা চুলকে বললেন,
— “মানে, গোটা তদন্তই একটা স্কুলবাচ্চার প্রাঙ্ক ছিল?”
মধু বলল,
— “তবে আপনার গোয়েন্দাগিরি আবার বিফলে গেল…”
গণেশ দা গম্ভীর মুখে বললেন,
— “না না, প্রতিটি কেস থেকে শিখি। আজ শিখলাম—গাঁয়ের ছোটরাও বড় জটিল হতে পারে!”
পর্ব ৫: পিন্টুর স্বীকারোক্তি ও ইলিশ-সঙ্কট
গাঁয়ের সব লোক তখন চায়ের দোকানে জড়ো। গণেশ দা একহাত কোমরে রেখে পিন্টুকে জিজ্ঞেস করলেন,
— “তুইই তাহলে ইলিশটা লুকিয়েছিস?”
পিন্টু নিচু গলায় বলল,
— “হ্যাঁ গণেশ কাকু… বন্ধুরা বলছিল মাছটা নকল। আমি তাই ওদের প্রমাণ দেখাতে চেয়েছিলাম… প্লাস্টিক না সত্যি, বুঝতে পারছিলাম না।”
— “তবে তোকে তো মাছ কাটতে হয়নি! তুই লেজটাই কেন আলাদা করে ফেললি?”
পিন্টু মাটির দিকে তাকিয়ে বলল,
— “ভেতরে ঢুকছিল না। তাই ভেঙে লেজ আলাদা করে গামছায় মুড়িয়ে রেখেছিলাম…”
চুনি বলল,
— “মানে, তুই পুরো মাছটাকে ভাগ করে রেখেছিস!”
পিন্টু মাথা নেড়ে বলল,
— “না কাকু… মাছটার বাকি অংশ আমি ঝর্ণা দিদিকে দিয়ে দিয়েছি।”
সবাই একযোগে হাঁ!
— “ঝর্ণা?! কে?”
ভোলা বলল,
— “ঝর্ণা পাড়ার আঁকির মেয়ে। স্কুলে সব সময় পুরনো জিনিস দিয়ে কিছু বানায়।”
মধু কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলল,
— “মানে সোনালি ইলিশ দিয়ে আর্ট প্রজেক্ট?”
পিন্টু বলল,
— “ও বলল সোনালি মাছ দিয়ে স্কুলে প্রদর্শনী বানাবে।”
গণেশ দা চোখ ছানাবড়া করে বললেন,
— “মানে গাঁয়ের ভোগের প্রতীক মাছ এখন আর্ট প্রজেক্টের শো-পিস!”
অবস্থা গম্ভীর। রঘু এসে বলল,
— “তবে মাছ যদি ফাটাফাটি থাকে, তা হলে ফেরত চাই। উনি সাজানোর জন্য এনেছিলেন, গাঁয়ের পূজার থিম ছিল ‘নদী ও জীবন’!”
পিন্টু দৌঁড়ে গেল ঝর্ণার বাড়ি। কিছুক্ষণ পর ফিরে এল, হাতে মাছের দেহ—রঙের নতুন কোটিং, চোখে হীরের মতো প্লাস্টিক স্টোন, পিঠে লেখা “মৎস্য সুন্দরী ২০২৫”।
চুনি বলল,
— “মাছ তো এখন সুন্দরী প্রতিযোগিতার প্রতিযোগী হয়ে গেছে!”
গণেশ দা মাছটি হাতে নিয়ে বললেন,
— “এই মাছকে এখন ফের সেই পুরনো সোনালি চেহারায় আনতে হবে। রঘু, তোমার দোকানে রঙ আছে তো?”
রঘু বলল,
— “আছে! কিন্তু এখন থেকে আমি মাছকে তালায় রাখব। শুধু লুকিয়ে না, বীমা করে রাখব!”
সবাই হেসে উঠল।
চা-দোকানে নতুন নোটিশ টাঙানো হল—
“সোনালি ইলিশ পুনরুদ্ধার হয়েছে। চোর ছিল ছোট, তবে তদন্ত ছিল
বড়!”
গণেশ দা শেষ চুমুক দিয়ে বললেন,
— “এই মামলার শিক্ষা—গাঁয়ের যে কোনো ‘ফিশ’ই হয়ে যেতে পারে ‘মিশন’!”
— “এবং যে কোনও পিন্টুই হয়ে যেতে পারে গোটা গল্পের টুইস্ট!”
(শেষ নয়… আবার ফিরবে গণেশ দা!)